একজন আইটি প্রফেশনাল হিসেবে আমাকে প্রচুর পরিমাণ টুল বা সফটওয়্যার এবং আনুষঙ্গিক অনেক টেক সার্ভিস মান্থলি সাবস্ক্রিপশন দিয়ে কিনে ব্যবহার করতে হয়। প্রতিমাসে হিসেব করলে টাকার অংকটা বেশ বড়।
একজন অভিজ্ঞ প্রফেশনাল সব সময় কাজ করতে চায় স্মার্ট ওয়েতে। যার মধ্যে অন্যতম কিছু ফ্যাক্টর হচ্ছে-
- সময় সেইভ করা
- গুছিয়ে কাজ করা
- সহজে কাজ করা
- কম পরিশ্রমে কাজ করা
- কাজে পারফেকশন আনা
- ডাটা নির্ভর কাজ করা
- কাজের মধ্যে একটা নিজস্ব সিগনেচার বা ট্রেডমার্ক তৈরি করা ইত্যাদি।
এখানেই একজন বিগিনার ও প্রো লেভেল মানুষের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়। একজন অভিজ্ঞ প্রফেশনাল মানুষ যখন কাজ করে সেই কাজের কোয়ালিটি আর একজন অনভিজ্ঞ মানুষের কাজের কোয়ালিটি কখনো এক হয় না।
স্মার্ট ওয়েতে কাজ করার জন্য অভিজ্ঞতার পাশাপাশি দরকার হয় স্মার্ট টেকের ব্যবহার। আপনি প্রযুক্তিকে কত ভালভাবে ব্যবহার করছেন এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
শুধু ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্যই না, আপনি যে ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করেন না কেন, আপনাকে কাজে দক্ষতা বাড়াতে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে জানতে হবে।
এখন সমস্যা হচ্ছে যদি এই ধরণের টুলগুলো মান্থলি সাবস্ক্রিপশন কিনে ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা অনেকের জন্যই বাজেটের বাইরে চলে যায়। এখানেই আসে ব্ল্যাক ফ্রাইডের প্রসঙ্গ। সারা পৃথিবীতে টেক দুনিয়ায় কেনাকাটার উৎসবের নাম ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে।
নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহজুড়ে থাকে এই ব্ল্যাক ফ্রাইডে। এই সময়টাতে সাধারণত প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসে বিশাল বিশাল ডিস্কাউন্ট ও স্পেশাল অফার দিয়ে থাকে। অনেকটা এমন যে, নরমাল ১০০ টাকা দামের জিনিসপত্র এই সময়ে কিনতে পারবেন ৫০ টাকায় বা আরও কম দামে।
একই সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুলের লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন অফার আসে। মানে আপনি একবার কিনলে সারাজীবন আর আপনাকে মান্থলি পে করতে হবে না। আমি সবসময় লাইফটাইম ডিলের ভক্ত।
আমি সাধারণত বছরের এই টাইমটার জন্য অপেক্ষায় থাকি, আগে থেকে প্রিপারেশন নিয়ে রাখি কি কি ধরণের টুল বা সার্ভিস কিনবো। আমার তালিকায় যে যে ধরণের টুলগুলো থাকে সাধারণত-
১. ডোমেইন
২. হোস্টিং
৩. এসইও টুলস
৪. কনটেন্ট ক্রিয়েশন টুলস
৫. সোশ্যাল মিডিয়া টুলস
৬. ইমেইল মার্কেটিং এবং কোল্ড আউটরিচ টুলস
৭. লিড জেনারেশন টুলস
৮. থিম অ্যান্ড প্লাগিন
৯. প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুলস
১০. সিআরএম টুলস
১১. অটোমেশন টুলস
১৩. ক্লাউড স্টোরেজ
১৪. লাইভ স্ট্রিমিং অ্যান্ড পডকাস্ট
১৫. অনলাইন মিটিং ইত্যাদি
সবার জন্য সতর্কতাঃ কোন টুল বা সার্ভিস যদি আপনি মনে করেন এই মুহূর্তে দরকার বা আগামী ২ বা ১ মাসের মধ্যে সেই টুলের ব্যবহার শুরু করবেন, তবেই টুল বা সার্ভিসটি কিনে নিন। অন্যথায় আবেগের বশবর্তী হয়ে ভবিষ্যতে ব্যবহার করবেন বলে কিনে রাখার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে সেই ভবিষ্যৎ আর সুদূর ভবিষ্যতে আসার সম্ভাবনা নেই।
বিশেষ নোটঃ অ্যাপসুমো হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় SAAS মার্কেটপ্লেস। মানে এখানে সফটওয়ারগুলোর সবচেয়ে বড় বড় ডিলগুলো আসে। অ্যাপসুমোর কোন প্রোডাক্ট নিশ্চিন্তে আপনি কিনে ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারেন। এমন কি আপনি যদি টেস্ট পারপাসেও কিনতে চান। কারণ অ্যাপসুমোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এখানে যেকোন প্রোডাক্ট কেনার পর ৬০ দিনের মধ্যে কোন প্রশ্ন বা কারণ দর্শানো ছাড়াই আপনি যখন খুশি আপনার প্রোডাক্ট রিফান্ড করে টাকা ব্যাক নিতে পারবেন আপনার কার্ডে। সো কোন টুল অ্যাপসুমো থেকে কিনে ৬০ দিন অনায়াসে ব্যবহার করে তারপর আপনার যদি মনে হয় এই টুলটা আপনার পারপাস সার্ভ করছে না, তাহলে যেকোন সময় রিফান্ড নিয়ে নিন।
অ্যাপসুমোর ব্ল্যাক ফ্রাইডে অফারগুলো একপলকে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শঃ আমরা আমাদের প্রয়োজনে কোন টুলের লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন কিনি। কিন্তু এমনও হতে পারে যে- কোন একটা সময়ে এই টুলের আমার আর প্রয়োজন নেই। তখন আমরা চাইলে এই টুলকে আবার একই দামে অথবা আরও অনেক বেশি দামে রিসেলিং মার্কেটে বিক্রি করে দিতে পারি।
কিন্তু আপনাকে এক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। অনেক টুল আছে যারা ইমেইল চেঞ্জ করতে দেয় না। আপনি যে ইমেইল দিয়ে আপনার একাউন্ট একটিভ করেছেন সেই ইমেইল আর চেঞ্জ করতে পারবেন না। এইক্ষেত্রে টুল বিক্রি করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই ইমেইল সহ দিয়ে দিতে হবে ক্রেতাকে। কিন্তু এই ইমেইলটা যদি আপনার ব্যবহারিক ইমেইল হয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবে আমরা সেই ইমেইল কাউকে দিয়ে দিতে পারবো না। এমন ক্ষেত্রে টুলটা আমি আর কখনো কারো কাছে বিক্রি করতে পারবো না।
তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে- একেকটা টুলের যখন লাইফটাইম ডিল কিনবেন, তখন নিজের পারসোনাল বা ব্যবহারিক ইমেইল দিয়ে একটিভ না করে, আলাদা একটা জিমেইল একাউন্ট খুলে সেই একাউন্টে একটিভ করুন। তাতে টুলটি যদি ইমেইল চেঞ্জ এলাউ নাও করে, আপনি যেকোন সময় ইমেইল সহ অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিতে পারবেন।
এবার আসা যাক, কোন কোন টুলগুলো এই ব্ল্যাকফ্রাইডেতে কিনবেন, আমার পছন্দের অফারগুলো। অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের ব্ল্যাক ফ্রাইডে অফার লঞ্চ করে নাই। আরও আকর্ষণীয় এবং ভাল কোন প্রোডাক্টের অফার আমার চোখে পড়া মাত্র আমি এই লিস্টে অ্যাড করে দিবো। এই পেইজটা বুকমার্ক করে রাখুন। আর অবশ্যই পেইজটা অন্যদের সাথে শেয়ার করুন যারা এই বিষয়ে আগ্রহী।
ডোমেইন
ডোমেইন কেনার জন্য আমার সব সময় পছন্দ নেইমচিপ। বিশেষ করে প্রথম বছরের জন্য আমি ডোমেইন কিনে থাকি নেইমচিপ থেকে। এরপর দ্বিতীয় বছর আমি নেইমচিপ থেকে ডোমেইন নিয়ে যাই ক্লাউডফ্লেয়ারে। কারণ দ্বিতীয় বছর ডোমেইন রিনিউ করতে গেলে তখন নেইমচিপ বেশি চার্জ করে, আর ক্লাউডফ্লেয়ার সব সময় এক রেটে থাকে। এজন্য আমি প্রথম বছর নেইমচিপ থেকে সবচেয়ে সস্তায় ডোমেইন কিনে, পরের রিনিউ করার আগে আগে সেটা ক্লাউডফ্লেয়ারে নিয়ে আসি।
হোস্টিং
ওয়েবসাইট যাদের আছে তাদের জন্য হোস্টিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আপনি ভাল কোথাও থেকে হোস্টিং না নিলে আপনার ওয়েবসাইট অনেক সময়ই ডাউন থাকবে। আর ওয়েবসাইট ডাউন থাকা মানে সব দিক থেকে আপনার ক্ষতি। দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে হোস্টিং ভাল না হলে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড খুব খারাপ থাকবে। আপনি কোনভাবেই ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়াতে পারবেন না। আর জানেন তো, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড খারাপ হওয়া মানে?
১. সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট র্যাংক করানো খুব কঠিন
২. ইউজারদের এক্সপেরিয়েন্স খুব খারাপ হবে
হোস্টিং নিয়ে প্ল্যান করলে আমি সাধারণত দুইধরণের হোস্টিং ব্যবহার করি।
১. দামি হোস্টিং
২. কম দামি হোস্টিং
আমার যেসব ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর, অনেক বেশি কনটেন্ট, যেটা থেকে বেশি টাকা ইনকাম করছি সেই ধরণের ওয়েবসাইটগুলোকে আমি দামি হোস্টিং এ রাখি।
অন্যদিকে যেসব ওয়েবসাইট নতুন, বিশেষ করে ১ বছরের কম বয়স, কনটেন্ট কম- এই ধরণের ওয়েবসাইটগুলো রাখি কম দামি হোস্টিং এ।
আপনারা যারা বিগিনার তাদের জন্য আমি সবসময় সাজেস্ট করি, ‘দামে কম, মানে ভাল’ টাইপ হোস্টিং। আর এই ধরণের হোস্টিং এর জন্য আমার প্রথম পছন্দ হোস্টিঙ্গার।
কম দামে ভাল হোস্টিং
১. Hostinger
আমি কম প্রাইজে হোস্টিং এর ক্ষেত্রে বরাবরই Hostinger এর ভক্ত। সবচেয়ে বেশি আপটাইম, লাইটস্পিড সার্ভার।
সমস্যা একটাই- ওদের সাপোর্ট খুবই বিরক্তিকর। অনেক বেশি সময় নেয় উত্তর দিতে, ওদেরকে সমস্যা বোঝানো খুব কঠিন।
২. DreamHost
আমার আরেকটা দামে কম, মানে ভাল টাইপ প্রিয় হোস্টিং হচ্ছে DreamHost. সার্ভারের আপটাইম ভাল, সাপোর্টও ভাল। তবে এটাকে Hostinger এর সাথে সবদিক থেকে তুলনা করলে আমি Hostinger কেই এগিয়ে রাখছি আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে।
৩. Namecheap
সাপোর্ট খুবই ভাল। মেইনটেনেন্স বিগিনার ফ্রেন্ডলি। তুলনামুলকভাবে বেশি সস্তা। কিন্তু সার্ভারের আপটাইম এবং ওয়েবসাইটের স্পিডের কথা বিবেচনা করে উপরের দুইটির সাথে তুলনা করলে এটাকে তিন নাম্বারেই রাখতে হবে।
এলার্টঃ কখনো কোন ওয়েব হোস্টিং এর লাইফটাইম ডিল কিনবেন না। ওয়েবহোস্টিং এর লাইফটাইম ডিল সব সময়ই খারাপ হয়। বিশেষ করে ২/১ বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় অথবা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়।
প্রিমিয়াম হোস্টিং সার্ভিস
আমার পছন্দের প্রিমিয়াম হোস্টিং এর তালিকা নিচে দিয়ে দিচ্ছি। যদি কারো ভাল বাজেট থাকে, ওয়েবসাইট থেকে বেশ ভাল ইনকাম হয় তাহলে নিশ্চিন্তে এখানকার যেকোন হোস্টিং অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। ওয়েবসাইটের স্পিড এবং সার্ভার নিয়ে আপনাকে একেবারেই ভাবতে হবে না কিছু।
১. Cloudways
২. WPX
৩. Flywheel
৪. Kinsta
৫. Blue Host
৬. A2 Hosting
৭. Siteground
ওয়ার্ডপ্রেস থিম
ওয়েবসাইটের স্পিড যে কয়টা বিষয়ের উপর নির্ভর করে তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর হচ্ছে ওয়েবসাইটে কোন থিম ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি যদি ভারি কোন থিম ব্যবহার করে ফেলেন, তাহলে ওয়েবসাইটের স্পিড কোন ভাবেই আপনি বাড়াতে পারবেন না। আপনি যদি ব্লগিং এর কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে লাইট এবং এসইও ফ্রেন্ডলি থিমগুলো হচ্ছে।
১. জেনারেটপ্রেস থিম
ব্লগারদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় থিম হচ্ছে জেনারেটপ্রেস। নিস সাইট ওনাররা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে জেনারেটপ্রেস থিম। ডিজাইন যেমনই হোক, সুপারফাস্ট থিম। সহজ কাস্টমাইজেশন। বিগিনারদের জন্য এই থিম সবচেয়ে আদর্শ।
জেনারেট প্রেসের তিন ধরণের সাবস্ক্রিপশন আছে।
- ফ্রি
- ইয়ারলি
- লাইফটাইম
ফ্রি এবং প্রিমিয়াম দুইটাই আছে ওদের। আপনি যদি থিমের জন্য খরচ করতে না চান, তাহলে অনায়াসে GeneratePress ফ্রি থিম দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার যাত্রা। আর যদি প্রো ফিচার পেতে চান তাহলে ইয়ারলি বা লাইফটাইম ডিল নিয়ে নিতে পারেন।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষ্যে চলছে বিশাল ডিস্কাউন্ট।
২. এস্ট্রা ওয়ার্ডপ্রেস থিম
জেনারেটপ্রেসের মতো আরেকটা খুবই জনপ্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস থিম হচ্ছে Astra থিম। এই থিমটা বিশেষ করে ব্লগিং, পারসোনাল পোর্টফলিও, বিসনেস ইত্যাদি ওয়েবসাইটগুলো প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হয়। লাইট থিম, সহজ কাস্টমাইজেশন, নতুনদের জন্য উপযোগী।
এস্ট্রা থিমেরও তিন ধরণের সাবস্ক্রিপশন আছে। ফ্রি, ইয়ারলি এবং লাইফটাইম।
আপনি যদি ফ্রি থিম দিয়েই ওয়েবসাইট শুরু করতে চান, তাহলে এই থিমটা ব্যবহার করতে পারেন।
আর যদি বাজেট থাকে তাহলে ইয়ারলি প্ল্যান অথবা লাইফটাইম প্ল্যান নিয়ে নিতে পারেন। এখন বেশ ভাল ডিস্কাউন্ট চলছে।
৩. পপকর্ন থিম
বর্তমান সময়ে আমার অন্যতম পছন্দের একটি প্রিমিয়াম থিম হচ্ছে- পপকর্ন থিম। খুবই ভাল স্পিড, দুর্দান্ত ডিজাইন। আপনি যদি ব্লগ ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং স্পিড এই দুইটাতেই অনেক বেশি ফোকাস থাকেন তাহলে নিশ্চিন্তে Popcorn Theme ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান সময়ে একটা ব্লগ ওয়েবসাইটের ডিজাইন যেমন থাকা উচিত এবং একটা ব্লগ ওয়েবসাইটে বেসিক যে যে ফাংশন থাকা দরকার তার সবকিছু এই থিমে ডিফল্টভাবে আছে। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে এই একটা থিম আপনাকে মিনিয়াম ৪/৫ টা এক্সট্রা প্লাগিনের ব্যবহার করা কমিয়ে দিবে। মানে আপনি অন্য কোন থিম ব্যবহার করলে ব্লগের বেসিক কিছু ফিচার একটিভ করতে আরও ৪ থেকে ৫ টা একটা প্লাগিন ব্যবহার করতে হবে কিন্তু এই থিমের মধ্যে সেগুলো ডিফল্টভাবেই আছে।
এই থিমের কোন ফ্রি ভার্সন নেই।
বর্তমানে ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলখ্যে চলছে খুব ভাল ডিস্কাউন্ট। বাজেট থাকলে নিয়ে নিতে পারেন।
৪. কেডেন্স থিম
বর্তমান সময়ে ব্লগারদের পছন্দের আরেকটা ভাল থিম হচ্ছে কেডেন্স থিম। ওদের ফ্রি এবং প্রিমিয়াম প্যাকেজ আছে। ফ্রি থিমেই এতো বেশি ফিচার যা অন্যসব থিমের প্রিমিয়াম ফিচার। এই থিমে প্রচুর পরিমাণ ফাংশন এবং ফিচার আছে। চাইলে কেডেন্স দিয়েই শুরু করতে পারেন আপনার ব্লগিং যাত্রা।
তিন ধরণের সাবস্ক্রিপশনই আছে-
১. ফ্রি
২. ইয়ারলি সাবস্ক্রিপশন
৩. লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন
ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষ্যে চলছে খুব ভাল ডিস্কাউন্ট।
ক্লাউড স্টোরেজ
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্লাউড স্টোরেজের ব্যবহার। ক্লাউড স্টোরেজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল- যে কোন স্থান থেকে, যেকোন সময় আপনি একসেস করতে পারবেন। তাই প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ডাটাগুলো নিজের কম্পিউটারে সেইভ করে রাখার পাশাপাশি রাখুন কোন একটা ক্লাউড স্টরেজে যাতে যে কোন স্থান থেকে যে কোন ডিভাইস ব্যবহার করে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডাটাগুলো দেখতে পারেন।
হ্যাঁ, আমাদের কাছে ক্লাউড স্টোরেজ হিসেবে খুবই জনপ্রিয় সার্ভিস হচ্ছে গুগল ড্রাইভ। কিন্তু গুগল ড্রাইভের ফ্রি একাউন্টে আপনি ১৫ জিবি ডাটা স্টোর করতে পারবেন। এর পর আপনাকে সাবস্ক্রিপশন কিনে ব্যবহার করতে হবে।
আপনার জন্য দারুণ দুইটি লাইফটাইম ডিল হচ্ছে-
১. PCloud
২. Koofr
এর মধ্যে আমার পছন্দ PCloud.
ভিডিও হোস্টিং লাইফটাইম প্ল্যান
প্রফেশনাল কাজে যদি আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ভিডিও তৈরি করতে হয় এবং সেগুলোকে নিরাপদে নিজের মতো করে মেইনটেইন করতে হয় তাহলে আপনার দরকার একটা ভিডিও হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে অনলাইন এডুকেশন, ট্রেইনিং, লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং এজেন্সির জন্য ক্লায়েন্ট পার্সোনালাইজ ভিডিও মেসেজিং এর জন্য দরকার হয় প্রিমিয়াম ভিডিও হোস্টিং প্লাটফর্ম যেমন- Vimeo, Wistia. কিন্তু এগুলোর মান্থলি সাবস্ক্রিপশন অনেক। আপনি যদি বিকল্প লাইফটাইম ডিল খুঁজেন তাহলে নিজের এই টুলটার চেয়ে ভাল অপশন আপনার হাতে নেই-
১. Gumlet Video
এসইও টুলস
একজন এসইও প্রফেশনাল হিসেবে সবার স্বপ্ন ইন্ডাস্ট্রি টপ লিডার এসইও টুলস Ahrefs অথবা SEMRush এর কোন লাইফটাইম ডিল অফার আসা। অথবা নিদেনপক্ষে ওদের বেস্ট কোন অলটারনেটিভ লাইফটাইম ডিল আসা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- এমন কিছু আপনি শুধু কল্পনাই করতে পারবেন, যেটা বাস্তবে কখনো আসবে না। কারণ এই টুলগুলো এতো বেশি ম্যাচিউর এবং এতো বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে যে ওরা যত বেশি প্রিমিয়াম চার্জই করুক না কেন, আপনাকে এই টুলগুলো ব্যবহার করতেই হবে। আর নতুন টুল এসে ওদের সাথে যাবে, সেটাই কল্পনা করাটা বোকামি। যাই হোক, আমরা তবুও চেষ্টা করি এমন কিছু এসইও টুলস আসুক, যা আমাদের কাজে অনেক বেশি প্রোডাক্টিভিটি আনবে এবং ইউনিক সমস্যার সমাধান করবে।
বরাবরের মতো এবারও এই ব্ল্যাক ফ্রাইডেতেও এসেছে এমন কিছু টুলের অফার যা আপনার দৈনন্দিন এসইওর কাজকে অনেক বেশি ফলপ্রসু করবে।
১. নিউরন রাইটার
বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিনে কনটেন্ট র্যাংক করাতে হলে শুধু অন পেইজ এসইও করলেই হয় না, কনটেন্টকে অবশ্যই NLP অপটিমাইজ করতে হবে। NLP মানে হচ্ছে ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং। মানে সার্চ ইঞ্জিন এখন একটা কনটেন্টের ভেতরের অর্থ বুঝতে এই NLP ব্যবহার করে। তাই অবশ্যই আমাদের এমন একটি NLP টুল দিয়ে সব কনটেন্টকে অপটিমাইজ করে তারপরই পাবলিশ করতে হবে। NLP করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু টুলস হচ্ছে- Surfer SEO, Frase, MarketMuse, ScaleNut ইত্যাদি। কিন্তু এই টুলগুলো সবগুলোই প্রিমিয়াম এবং মান্থলি সাবস্ক্রিপশন। আপনি যদি সবচেয়ে ভাল একটি অল্টারনেটিভ টুলের লাইফটাইম ডিল খোঁজেন তাহলে আপনার জন্য এই অপশনটা।
২. উবারসাজেস্ট | Ubersuggest লাইফটাইম ডিল
আপনি যদি Ahrefs অথবা SEMRush এর কোন বিকল্প টুলের লাইফটাইম খুঁজে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল অপশন উবারসাজেস্ট লাইফটাইম ডিল কেনা। উবারসাজেস্ট কখনোই Ahrefs বা SEMRush এর কাছাকাছিও না। কিন্তু আপনি এই দুইটা টুলের পর যদি তৃতীয় কোন টুলের কথা চিন্তা করেন তাহলে সেটা অবশ্যই উবারসাজেস্টই হবে। উবারসাজেস্টের এই ডিলের সাথে আছে আরেকটা জনপ্রিয় টুল Answer the Public. এই দুইটা টুলের কম্বো কিনে নিলে একসাথে আপনার এসইও জার্নিটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আপনি চাইলে শুধু উবারসাজেস্টের এর লাইফটাইম ডিলও কিনে নিতে পারেন।
৩. রাইটারজেন | WriterZen
মূলত কিওয়ার্ড রিসার্চ করা, কিইয়ার্ড ক্লাস্টার, প্লেজারিজম চেক করার জন্য এই টুলটা খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয়। কিন্তু এই টুল দিয়ে আপনি খুব ভাল করে কনটেন্ট আউটলাইন ক্রিয়েশন, এমন কি কনটেন্ট রাইটিং ও করতে পারবেন। বাকি সবকিছুর জন্য ব্যবহার করলেই এটাকে কোনভাবেই আপনি একটা ভাল এআই কনটেন্ট রাইটিং টুল বলতে পারবেন না। লো কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড রিচার্স, প্লেজারিজম ও কিওয়ার্ড ক্লাস্টার এই তিনটা ফিচারের জন্য এই টুলটা আমার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।
৪. ওপ | Wope
এসইওর একেবারে নতুন টুল Wope. কিন্তু নতুন হলেও এসেই সবার মন কেড়ে নিয়েছে ওদের ক্লিন ইউআই। আমি এই টুলটা বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত এটার কিওয়ার্ড ট্রাকিং ফিচার আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে। একটু একটু করে আমি আরও এক্সপ্লোর করছি।
আপনিও বাজেট থাকলে কিনে রাখতে পারেন। কারণ ঐ যে নিশ্চিন্তে টেস্ট করার সুযোগ পাবেন, মার্কেটপ্লেসটাতো অ্যাপসুমো। কেনার পর ৬০ দিনের মধ্যে যেকোন সময় আপনি টাকা রিফাউন্ড নিয়ে নিতে পারবেন কোন প্রশ্ন ছাড়াই।
ভিডিও ক্রিয়েশন টুলস
গত কয়েক বছর ধরেই অনুমান করা যাচ্ছিল যে সময়টা হবে ভিডিও মার্কেটিং এর। আসলেও তাই। বর্তমান সময়টা একেবারেই ভিডিও মার্কেটিং এর। ভিডিওর আছে বিভিন্ন ধরণ- শর্টস, রিলস, স্টোরিজ, লং ভিডিও, এক্সপ্লেনারি ভিডিও, লাইভ ভিডিও, ফেসলেস ভিডিও, এআই ভিডিও ইত্যাদি নানান রুপ। আর এই সব ভিডিও মেকিংএ এসেছে ভিন্নতা এবং নানান স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার। এমন কিছু টুলকে নিয়েই এই সেকশনটা।
১. ওয়েব ভিডিও | Wave Video
এই টুলটা বর্তমানে একটি সম্পূর্ণ ভিডিও ক্রিয়েশন প্যাকেজ। এই টুলে কি কি ফিচার আছে- এই প্রসঙ্গে বলতে গেলে উল্টো প্রশ্ন আসবে, একটা কনটেন্ট ক্রিয়েশন প্ল্যাকেজে যা যা থাকে তার কোনটা নেই এখানে?
- ভিডিও এডিটরঃ আপনি ক্লাউড ভিডিও এডিটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন
- স্টক রিসোর্সঃ এই টুলের ভেতরেই আছে সব ফ্রি স্টক ইমেইজ এবং ভিডিও ফুটেজ ইন্ট্রিগেট করা- এর মানে আপনাকে ভিডিও ফুটেজ ফ্রি রিসোর্স থেকে খুঁজে খুঁজে ডাউনলোড করে এখানে আপলোড করতে হবে না, এখান থেকেই আপনি পছন্দমতো সব ফ্রি স্টক রিসোর্স পেয়ে যাচ্ছেন।
- প্রিমিয়াম স্টক মিডিয়াঃ আমরা জানি প্রিমিয়াম স্টক সোর্স যেমন- স্টোরি ব্লকস, এনভাটো এলিমেন্টস এগুলো প্রতি মাসে অফিসিয়াল সাবস্ক্রিপশন প্রায় ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা করে। কিন্তু এই স্টোরি ব্লকসের সব রিসোর্স এই টুলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারছেন প্রতি মাসে।
- টেক্সট টু ভিডিওঃ স্ক্রিপ্ট দিয়ে দিবেন, সেটা দিয়ে ভিডিও বানিয়ে দিবে।
- ব্লগ টু ভিডিওঃ যেকোন ব্লগের লিংক দিয়ে দিবেন, সেটা থেকে ভিডিও বানিয়ে দিবে।
- অটো ট্রান্সক্রিপ্টঃ অটোমেটিভ ভিডিওর ট্রান্সক্রিপ্ট অ্যাড করে দিবে।
- টেক্সট টু স্পিচঃ হাই কোয়ালিটির আলট্রা হিউম্যান ভয়েসে আপনার লেখার ভয়েস ওভার তৈরি করে দিবে।
- স্ক্রিন রেকোর্ডারঃ এটা দিয়ে আপনি টিউটোরিয়াল বা যে কোন ধরণের স্ক্রিন রেকোর্ডার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
- লাইভ স্ট্রিমিংঃ যারা নিয়মিত লাইভ স্ট্রিমিং করেন StreamYard ব্যবহার করে, তারা বেশিরভাগই StreamYard এর ফ্রি ভার্শন ব্যবহার করেন, যেখানে StreamYard এর লোগো এবং ব্রান্ডিং থাকে। মান্থলি সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে ব্যবহার করলেই শুধু নিজের লগো বা নিজের মতো করে ভিডিওর ব্রান্ডিং করতে পারবেন। এই টুল হচ্ছে আপনার সমাধান। হোয়াইট লেভেল ব্রান্ডিং মানে- আপনি নিজের প্রতিষ্ঠানের লোগো এবং তথ্যসহ নিজের মতো করে প্রিমিয়াম লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবেন এই টুল দিয়ে।
- ক্লাউড স্টোরেজঃ ৫০০ জিবি ভিডিও স্টোরেজ আছে। যেটা আপনি কোন প্রিমিয়াম ভিডিও হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার না করে এটা নিয়ে খুব ভাল ভাবে আপনার অনলাইন রেকোর্ডেড কোর্স, বা কনফিডেন্সিয়াল ভিডিওগুলোকে নিজের মতো করে হোস্ট করে ব্যবহার করতে পারেন।
- টেলিপ্রোমটারঃ দারুণ একটি ফিচার হচ্ছে টেলিপ্রোমটার। মানে টিভিতে খবর যেমন মানুষ দেখে দেখে পড়ে কিন্তু মনে হয় সংবাদ পাঠক ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন, এই দারুণ ফিচারটিও আপনি পেয়ে যাচ্ছেন এখানে।
- এক্সপ্লেইনার ভিডিওঃ এই টুলের সাথে পেয়ে যাচ্ছেন ওদের এক্সপ্লেইনার ভিডিও প্ল্যাটফর্ম Animatron Studio এর ফ্রি একসেস। যা দিয়ে আপনি টু ডি অ্যানিমেশন ভিডিও বানাতে পারবেন।
- এখন আপনিই বলেন- আরও কিছু চান?
ওয়েব ভিডিও আগেও কয়েকবার অ্যাপসুমতে এসেছিল। তবে আগের বারের চেয়ে প্রাইজ এখন বেশি হয়ে গেছে, কারণ তখন এতো বেশি ফিচার ছিল না এটাতে।
আপনার যদি ভিডিওর জন্য একটি দারুণ টুল দরকার হয়ে তাহলে এটা নিয়ে নিতে পারেন।
২. ইলুস্ট্রো | Illusto
দিন দিন সবকিছু এখন ক্লাউড বেইজ হয়ে যাচ্ছে। ক্লাউডের সবচেয়ে বড় সুবিধা যখন তখন যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় যেকোন ডিভাইসে আপনি একসেস করতে পারবেন। আপনি যদি ক্যামটাসিয়া বা ফিল্মোরার একটা অল্টারনেটিভ ক্লাউড টুল ব্যবহার করতে চান, তাহলে এই টুলটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল অপশন। নিজের ইচ্ছা মতো যখন তখন যেকোন ডিভাইস থেকে আপনার একাউন্টে ঢুকে ভিডিও এডিট করবেন। খুব ক্লিন ইন্টারফেস। ফাস্ট স্পিড। ফ্রি এবং প্রিমিয়াম স্টক মিডিয়া তো সাথে আছেই।
৩. বিগভিউ | BigVu
যারা মোবাইল কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য অনেক বেশি পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই টুলটা মাস্ট! লাইভ স্ট্রিমিং, মোবাইল ভিডিও রেকোর্ডিং, এডিটিং, অটো সাবটাইটেল অ্যাড করা, ইংলিশ কনটেন্টের জন্য এআই স্ক্রিপ্ট লেখা, ব্রান্ডিং ও টেলিপোমটার- মানে স্ক্রিপ্ট দেখে দেখে পড়বেন কিন্তু মনে হবে আপনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন।
মোবাইলের পাশাপাশি আপনি সবগুলো কাজ ডেক্সটপেও করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করেন, লাইভ ভিডিও বা ভিডিও মেকিং এ যুক্ত তাদের জন্য খুব ভাল একটা টুল BigVu.
৪. ক্রিয়েটাই | Creattie
দারুণ সব স্ট্যাটিক ইলাস্ট্রেশন এবং এনিমেটেট ইলাস্ট্রেশনের কালেকশন টুল হচ্ছে Creattie. প্রমোশনাল ভিডিও বা ইমেইজ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য Creattie খুবই দরকারি একটা ওয়েবসাইট। আপনি আপনার পছন্দ মতো ব্র্যান্ড কালার পরিবর্তন করে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন আপনার কনটেন্টে। অডিও ভিজুয়াল ভিডিও দিয়ে যারা কাজ করেন এবং যারা ওয়েব ডেভেলপার তাদের জন্য এই ওয়েবসাইটের লাইফটাইম সাবিস্ক্রিপশন নেওয়ার খুব ভাল সুযোগ।
এআই রাইটিং অল ইন ওয়ান টুল | Voila
- কি করে: এককথায় আপনার পারসোনাল এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট, দৈনিক সব লেখালেখি, যেকোন প্ল্যান করা, রিসার্চ, কনটেন্ট রাইটিং, ইমেইল রাইটিং, বিসনেস কমিউনিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট রাইটিং, লিঙ্কেডিন কমেন্ট, রিপাই, গ্রামার কারেকশন করা, লেখা ইম্প্রুভ করা, রিরাইট করা ইত্যাদি সব কিছু করতে পারবেন। চ্যাটজিপিটি ৪ (পেইড ভার্সন) প্রতি মাসে ২০ ডলার দিয়ে কেনার দরকার নেই। জিপিটি ৪ আনলিমিডেট ব্যবহার করতে পারবেন। চ্যাটজিপিটির মতো নির্দিষ্ট কোন ওয়েবসাইট না, বরং মাউসের সাথে সাথে অনলাইনের যে যে পেইজে যাবেন সেখানেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন। আমারে নিত্যসঙ্গী এই টুলটা।
- কাদের জন্য: যারা লেখালেখি করেন, রিসার্চ করেন, প্ল্যান করেন, অনেক বিসনেস কমিউনিকেশন করতে হয়, গ্রামারলি পেইড ব্যবহার করতে হয় বা রিরাইটিং করতে হয় তাদের জন্য।
- কার বিকল্প: ChatGPT-4, Grammarly, Quillbot, Wordtune, Jesper ai etc.
বর্তমানে নতুন কোন এ আই রাইটিং টুল আমাকে আর টানে না। তাই আমি বেশ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি আর নতুন কোন এআই রাইটিং টুল কিনবো না। কারণ ইতোমধ্যে আমার বেশ কিছু খুব ভাল ভাল এআই রাইটিং টুল কেনা আছে। এবং আমি নিয়মিত ব্যবহার করছি। কিন্তু আমার এই সিদ্ধান্ত এসে ভাংচুর করে দিলো Voila. এটা উচ্চারন করতে আমার অনেক কষ্ট হয়। কখনো ভইলা, কখনো ভয়লা, কখনো ভয়ওয়ালা বলে ফেলি! তাতে কি! নামে কিবা আসে যায়!
এবার কাজের কথায় আসা যাক- আমি ১ দিনও এই টুলটা ছাড়া চলতে পারি না। যারা বিশেষ করে চ্যাট জিপিটি সবসময় ব্যবহার করেন তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে- কোন কিছু লেখার বা জানার দরকার হলে আপনাকে বারবার চ্যাট পিজিটিতে গিয়ে কমান্ড দিয়ে কাজ করতে হয়। এতে বারবার ট্যাব পরিবর্তন করতে হয়, ব্রাউজার পরিবর্তন করতে হয়, নতুন করে লগ ইন করতে হয়, ইত্যাদি।
এই টুলটা আমি গুগল ক্রম, ফায়ারফক্স, এজ ইত্যাদি ব্রাউজারে অ্যাড করে নিবেন, তারপর আপনার ইন্টারনেট দুনিয়া একেবারে সহজ হয়ে যাবে।
যখনই কিছু লেখার প্রয়োজন হবে কিবোর্ড থেকে শর্টকার্ট বাটনে ক্লিক করবেন পপ আপ চলে আসবে আপনার সামনে কমান্ড দিবেন, কাজ হয়ে যাবে।
যেকোন কিছু লেখা, লেখাকে ইম্প্রুভ করা, লেখার বানান কারেকশন করা, সামারাইজ করা, ব্লগ কনটেন্ট লেখা, কোন লেখাকে রিরাইটিং করা, কপিরাইটিং করা ইত্যাদি অসংখ্য বিল্ট ইন টেমপ্লেট তৈরি করাই আছে। এর উপর আপনি নিজের মতো করে কাস্টম টেমপ্লেট তৈরি করে সেগুলোও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারবেন।
Voila সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটা জিপিটি ৪ এবং জিপিটি ৩.৫ দুইটাই ব্যবহার করে। এর মানে হচ্ছে আপনার কাছে Voila থাকলে আপনাকে আর চ্যাটজিপিটি প্রো ব্যবহার করার দরকার নেই।
আপনি যে কোন ওয়েবপেইজে ভিজিট করে ঐ পেইজের কনটেন্ট অটোমেটিক Voila কে দিয়ে পড়াতে পারবেন এবং সেই কনটেন্ট অনুয়ায়ি কোন কমান্ড দিলে সেই লেখা ও আপনার কমান্ড অনুয়ায়ি খুব ভাল রেজাল্ট দিবে।
আপনি আপনার ইমেইল খুললেই সেখানে Voila খুঁজে পাবেন, আপনার ইমেইল লিখে দেওয়া বা রিপ্লাই দেওয়া হবে ভয়লার কাজ। আপনি কমান্ড দিবেন, সেই অনুয়ায়ি খুব প্রোফেশনাল ওয়েতে আপনাকে লিখে দিবে। আপনি ক্লিক করবেন সেই ইমেইল আপনার ইমেইল এডিটরে চলে আসবে। তবে অবশ্যই পড়ে পড়ে দেখতে হবে ভয়লা যে ইমেইল লিখছে সেটা ঠিকঠাক আছে কিনা।
ভয়লা হচ্ছে আমার প্রতিদিনের একটা পারসোনাল এসিসট্যান্ট। অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন আর আমাকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করবেন না।
অডিও টুলস
অডিও ক্লিনিং ও এনহেন্সিং টুল
যারা ভিডিও এডিটিং করেন তাদের জন্য এই টুলটি। এটা একটা অডিও এডিটিং টুল যার এআই ফিচারের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওর অডিওর অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো ক্লিন করে দিবে এই টুল। অপ্রয়োজনীয় অংশ কি- আমরা কথা বলতে গেলে- কথার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে- অ্যা! আ! উমম! ইত্যাদি শব্দ করে থাকি। এই শব্দগুলোকে চিহ্নিত করে মুহূর্তের মধ্যেই মাম্বলিং অংশগুলো ক্লিন করে দিবে এই টুল। এছাড়া কথার মধ্যে দীর্ঘ বিরতির স্থানগুলো অটোমেটিক কেটে দিবে। অবশ্য আপনি চাইলে কোন অংশ নিজের ইচ্ছামতো কেটে ফেলতে বা রাখতেই পারবেন। এছাড়া আরেকটা ভাল ফিচার হচ্ছে ভিডিও থেকে অটোমেটিক নয়েজ রিমুভ করে অডিও কোয়ালিটি বাড়িয়ে দিবে। আপনাকে যদি অনেক বেশি সময় ধরে অডিও নিয়ে কাজ করতে হয়, তাহলে অবশ্যই এই টুলটি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
১. Resound
টেক্সট টু স্পিচ টুল
বর্তমান যুগ এআই এর। হাতের কাছে এআই টুল থাকলে ভিডিও মেকিংটা হয়ে যায় পানির মতো সহজ। স্ক্রিপ্ট লেখা থেকে শুরু করে ভিডিও বানানো পর্যন্ত বেশ কয়েকটা ধাপ আছে। এই ধাপগুলোকে আপনাকে বেশ কয়েকটা টুলের ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে স্ক্রিপ্ট তৈরি করার জন্য একটা এআই কনটেন্ট রাইটিং টুল। তারপর সেই স্ক্রিপ্টে ভয়েসওভার দেওয়ার জন্য দরকার একটা TTS বা টেক্সট টু স্পিচ টুল। এরপর এই ভয়েস দিয়ে প্রয়োজনীয় ভিডিও ফুটেজ ও ইমেইজ দিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য দরকার একটা ভিডিও মেকিং টুল। ব্যাস হয়ে গেল আপনার কমপ্লিট ফেসলেস ভিডিও।
আপনার নিস সাইটের EEAT ইম্প্রুভ করতে ভিডিও কনটেন্ট, ইউটিউব অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউব ফেসলেস ইংলিশ ভিডিও, প্রোমোশনাল ইংলিশ ভিডিও ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই আপনার দরকার এই ধরণের ভিডিও।
প্রথমে ভিডিওর স্ক্রিপ্ট বানানোর জন্য ফ্রি বেস্ট অপশন হচ্ছে- ফ্রি চ্যাট জিপিটি। এখন এই ভিডিওতে হাই কোয়ালিটির অডিয়ো ভিয়েসে নিয়ে আসতে দরকার একটা ভাল TTS সফটওয়্যার। এমন টুল যার ভয়েস শুনে মনেই হবে না এটা এআই ভয়েস। এআই হিউম্যান টোন ভয়েসের জন্য এই দুইটা টুলের বর্তমান লাইফটাইম ডিল চলছে।
১. Speechki
২. Utrrr
ইমেইল মার্কেটিং ও কোল্ড আউটরিচ
আপনি যদি ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আপনাকে দুই ধরণের ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে জানতে হবে।
১. ইমেইল মার্কেটিং
২. কোল্ড ইমেইল আউটরিচ
এই দুই ধরণের মার্কেটিং এর এপ্রোচ ভিন্ন ভিন্ন। ইমেইল মার্কেটিং এ আপনি আপনার নির্দিষ্ট অডিয়েন্সের (যাদের ইমেইল আপনার কাছে আছে) কাছে আপনার পণ্য বা সার্ভিস অথবা নিউজলেটার পাঠিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রোমোশন এবং ব্রান্ডিং করবেন।
অন্যদিকে কোল্ড ইমেইল আউটরিচ হচ্ছে আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারদেরকে যারা আপনাকে এবং আপনার ব্র্যান্ডকে সেই অর্থে চিনে না, অনেক বেশি পারসোনালাইজ ইমেইল পাঠিয়ে তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার মাধ্যমে তাদেরকে কাস্টমারে পরিণত করার পদ্ধতি। ইমেইল মার্কেটিং এ বাল্ক আকারে বেশ বড় অডিয়েন্সের কাছে ইমেইল জেনেরিক টাইপ ইমেইল পাঠানো হয়, আর কোল্ট আউটরিচের মাধ্যমে ছোট অডিয়েন্সের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়, পারসোনাইজ ইমেইল পাঠানো হয়।
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য সেরা কিছু টুল হচ্ছে- Mailchimp, Constant Contact, Brevo, ConvertKit, MailerLite ইত্যাদি। কিন্তু এই টুলগুলোর মান্থলি সাবস্ক্রিপশন অনেক বেশি। আপনি যদি রেগুলার ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য কোন টুলের লাইফটাইম ডিল পেতে চান তাহলে নিচের দুই দুইটা টুল এই মুহূর্তে আপনার জন্য বেস্ট অপশন।
ইমেইল মার্কেটিং টুল
ইমেইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি দারুণ ইমেইল মার্কেটিং অটোমেশন করতে পারবেন এই টুলগুলো দিয়ে।
১. Vbout
২. AcumbaMail
কোল্ড ইমেইল আউটরিচ টুল
ইমেইল মার্কেটিং টুল না বরং কোল্ড ইমেইল আউটরিচের মাধ্যমেইল ক্লায়েন্ট হান্টিং করা হয়ে থাকে। কোল্ড ইমেইল আউটরিচের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল হচ্ছে Instantly, Lemlist, Snov, SalesHandy ইত্যাদি। সবগুলো খুবই জনপ্রিয় এবং মান্থলি সাবস্ক্রিপশন অনেক।
এই মুহূর্তে আপনি যদি আপনার এজেন্সির জন্য বা ফ্রিল্যাসিং এর জন্য কোন কোল্ড ইমেইল আউটরিচ টুল খুঁজে থাকেন তাহলে এই টুলগুলো বিবেচনা করতে পারেন।
১. SendNow
২. Mystrika
৩. Nureply
এই টুল দিয়ে এক সাথে দুইটাই করতে পারবেন লিঙ্কেডিন আউটরিচ এবং ইমেইল আউটরিচ
১. Closely
২. Outboundly
লিড জেনারেশন টুলস
লিড জেনারেশন টুলস কেনার আগে আপনাকে কয়েকটা বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। আপনি কি ধরণের লিড জেনারেট করতে চান? যাদের লিড জেনারেট করতে চান, সেই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কেমন? সেগুলো কি একেবারে ছোট লোকাল বিসনেস? নাকি মিডিয়াম সাইজ বিসনেস? নাকি বড় বিসনেস?
আরও একটা বিষয় আপনাকে ভাবতে হবে- সার্ভিস টাইপ বিসনেস? নাকি প্রোডাক্ট টাইপ বিসনেস?
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হচ্ছে- খুব ছোট একটা এরিয়ার মধ্যে বিসনেস? নাকি সিটি বেইজ বিসনেস? নাকি কান্ট্রি বেইজ বিসনেস? অথবা গ্লোবাল বিসনেস?
এতোগুলো বিষয় মাথায় নিতে গেলে আমি জানি আপনি খুব কনফিউজড হয়ে যাবেন।
আমি ব্যাপারটা খুব সিম্পল করে দিচ্ছি।
আমরা বিসনেসের ধরণ অনুয়ায়ি তিন ধরণের লিড জেনারেট করতে পারি।
১. লোকাল ছোট বিসনেস
২. মিডিয়াম অথবা বড় স্কেলের বিসনেস
৩. ইকমার্স বিসনেস
লোকাল ছোট বিসনেস হচ্ছে এমন সব বিসনেস, যারা খুব ছোট এরিয়ার মধ্যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করে।
যেমন- লোকাল ক্লিনিক বা হসপিটাল, বিউটি পার্লার, ফিজিওথেরাপি সেন্টার ইত্যাদি টাইপ বিসনেস।
এই ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো লিড জেনারেট করতে হলে গুগল ম্যাপ এবং গুগল সার্চ স্ক্রেপিং করে লিড জেনারেট করতে হয়।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করা প্রতিষ্ঠানের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার প্রতিষ্ঠানের মালিক নিজেই ম্যানেজ করে থাকে।
তাই আপনি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার করা ইমেইল বা ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে কমিউনিকেশন শুরু করতে পারেন। তবে সেখানেও যদি প্রতিষ্ঠানের মালিকের ব্যক্তিগত ইমেইল এবং ফোন নাম্বার পাওয়া যায়- তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
মিডিয়াম সাইজ বা বড় কোন বিসনেস হলে তার জন্য আপনি প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগের যে নাম্বার শেয়ার করা থাকে বা যে ইমেইল শেয়ার করা থাকে, সেই কমিউনিকেশন চ্যানেলে আপনি বিসনেসের ডিসিশন মেকারকে রিচ করতে পারবেন না। কারণ এই ইমেইল বা ফোন নাম্বারগুলো ম্যানেজ করে ঐ প্রতিষ্ঠানের সাধারণ প্রতিনিধিরা কাস্টমার সাপোর্ট দেওয়ার জন্য।
এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিষ্ঠানের টপ লেভেলের কর্মকর্তাদের নাম, ইমেইল এবং ফোন নাম্বার জোগাড় করতে হবে। ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই রকম। আউটরিচ করতে হয় অনেক বেশি পারসোনালাইজ টোনে। এই কারণে এই ক্যাটাগরিকে আমি নাম দিচ্ছি- পারসোনালাইজ লিড।
এই দুই ক্যাটাগরির লিড জেনারেট করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন টাইপ টুল ব্যবহার করতে হয়।
লোকাল ছোট বিসনেস লিড জেনারেশন
এই ধরণের লিড খুব সহজেই আপনি গুগল ম্যাপ এবং গুগল সার্চ স্ট্রিং ব্যবহার করে করে ফেলতে পারেন। তবে ব্যাপারটা একঘেয়ে এবং সময় সাপেক্ষ। যারা সময় বাঁচাতে চান, তারা টুল ব্যবহার করেন।
এই ধরণের প্রতিষ্ঠানের লিড জেনারেট করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু টুল হচ্ছে d7 Lead Finder, Captain Data LeadSwift ইত্যাদি।
এই ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে এমন কিছু লোকাল বিসনেস ভাল টুলের লাইফটাইম সাবস্ক্রিপশন ক্যাম্পেইন চলছে। আমার পছন্দ অনুয়ায়ি সেগুলোর লিস্ট নিজে দেওয়া হল।
তবে এই ধরণের টুলের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে প্রথমে গুগল ম্যাপ এপিআই কি আপনার টুলের মধ্যে ইন্ট্রিগেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনার নিজের গুগল ম্যাপ এপিআই থেকে আপনি টুল ব্যবহার করে ডেটা স্ক্রেপিং এই মাধ্যমে লিড জেনারেট করতে পারবেন। গুগল ম্যাপ এপিআপ ক্রেডিট বেইজ। আপনাকে ফ্রিতে ৩০০ ক্রেডিট দিবে। এই ৩০০ ক্রেডিট দিয়ে আপনি কয়েক হাজার লিড জেনারেট করতে পারবেন। এবং আপনার ক্লায়েন্টও এর মধ্যেও ম্যানেজ হয়ে যাবে। ৩০০ ক্রেডিট শেষ হয়ে গেলে আপনাকে ক্রেডিট কিনে খরচ করতে হবে। যেটা খুবই সামান্য। যাই হোক গুগল ম্যাপ এপিআই সেটআপ করার জন্য আপনার লাগবে একটা ভ্যালিড ক্রেডিট কার্ড। ডেভিট কার্ড দিয়ে হবে না। ক্রেডিট কার্ড থাকলে সেটা দিয়েই আপনি ফ্রি ৩০০ ক্রেডিট ক্রেইম করতে পারবেন।
পারসোনালাইজ লিড
এই ধরণের লিড জেনারেট করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ প্রথমত আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের। এরপর তাদের ইমেইল এবং ফোন নাম্বার সংগ্রহ করতে হয় অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডাটা এবং ওয়েব সার্চ নিয়ে কাজ করে। খুব ভাল ভাল কিছু টুল আছে যারা লিঙ্কেডিন ডাটা এনালাইসিস এবং ওয়েব স্ক্র্যাপিং করে লিড বের করে দেয়। তবে বেশ খরচ সাপেক্ষ এই টুলগুলো। এমন কিছু ভাল টুল হচ্ছে- Apollo, ZoomInfo.
আমরা যেহেতু লাইফটাইম ডিল খুজছি ভাল কিছু অপশন এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আছে।
ইমেইল ভ্যারিফায়ার
লিড তো জেনারেট করলেন। এখন লিডের ইমেইলগুলো কি আদৌ ঠিক আছে কিনা, সেটাও কিন্তু খুব ভাল করে দেখার বিষয়। কারণ এই টুলগুলো অনেক সময় বিভিন্ন অ্যালগরিদম অনুয়ায়ি ডেটা এনালাইসিস করে ইমেইল তৈরি করে সেগুলোকে সাজেস্ট করে। হয়ত এমন কোন ইমেইল দিচ্ছে যেটার বাস্তবে কোন অস্তিত্বই নেই। আবার অনেক ইমেইল থাকতে পারে ইনএকটিভ, অনেক ইমেইল হয়ত যেখান থেকে ডাটাটা নিয়ে আসছে সেখানেই ভুল ছিল ইত্যাদি অনেক ধরণের ইস্যু থাকতে পারে। আপনি যদি এগুলো ভ্যারিফাই না করেই এই ইমেইলগুলোতে আউটরিচ করে ফেলেন তাহলে আপনার ওপেন রেট, বাউন্স রেট ইত্যাদি বেড়ে যাওয়ার কারণে আপনার এই ইমেল অটোমেটিক্যালি হয়ত ব্ল্যাক লিস্টে চলে গিয়ে ইমেইল করলে পরবর্তীতে সেই ইমেইলগুলো আর মানুষজনের ইনবক্সে না গিয়ে জমা হবে স্প্যাম ফোল্ডারে। এবং এই কারণে আপনার পরবর্তী সমস্ত চেষ্টা বৃথা যেতে পারে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে অবশ্যই কোন ইমেইল ভ্যারিফায়ার ব্যবহার করতে হবে এই ইমেলগুলোকে ভ্যারিফাই করার জন্য।
অনেক লিড জেনারেশন টুলে এই ফিচার তাদের প্যাকেজের সাথে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনাকে এর জন্য ভাল কোন ইমেইল ভ্যারিফায়ার ব্যবহার করতে হবে।
দারুণ ব্যাপার হচ্ছে খুবই ভাল একটা ইমেইল ভ্যারিফায়ারের লাইফটাইম ডিল আছে। আপনি যদি বিসনেস নিয়ে সিরিয়াস থাকেন তাহলে অবশ্যই কিনে নিন।
Sessions: অনলাইন ওয়েবিনিয়ার, ক্লাস ও মিটিং টুল
- কি করে: এককথায় জনপ্রিয় মিটিং অ্যাপ জুম এবং গুগল মিটের পেইড ভার্সনের অল্টারনেটিভ। অলাইনে রেগুলার লং টাইম, ৪৫ থেকে ৫০০ জন নিয়ে ক্লাস, ভিডিও মিটিং, ওয়ার্কশপ, পডকাস্ট, বুকিং, ভিডিও রেকোর্ডিং ইত্যাদি।
- কাদের জন্য: অনলাইন ট্রেইনার, কোচ, শিক্ষক, ফ্রিল্যান্সার, এজেন্সি ওনার, বিসনেস ওনার, টিম লিডার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ মানুষ যাদের প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট সময়সীমা ছাড়া অসংখ্য মানুষ নিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড এলিমেন্টস ব্যবহার করে ভিডিও ইন্টারএকটিভ ক্লাস বা মিটিং করতে হয়।
- কার বিকল্প : Zoom, Google Meet, Calendly ইত্যাদি
যাদের নিয়মিত লং টাইম মিটিং করতে হয় এবং মিটিং এর জন্য জুম প্রো অথবা গুগল মিট ব্যবহার করতে হয়, তারা যদি এমন একটি টুল খোঁজেন যার ফিচার জুম বা গুগল মিট থেকেই বেশি, মিটিং এক্সপেরিয়েন্স আরও ভাল তাদের জন্য Sessions একটা ডায়মন্ড। আমি নিয়মিত স্কিলোরের অনলাইন ক্লাস, লাইভ সেমিনার এবং কিউবিক্সক্রুর ক্লায়েন্ট মিটিং করার জন্য এই টুল ব্যবহার করছি। এটা একটা অল ইন ওয়ান মিটিং ম্যানেজম্যান্ট টুল। আপনি মিটিং, মিটিং রেকোর্ডিং, মিটিং বুকিং, ওয়েবিনিয়ার ল্যান্ডিং পেইজ ইত্যাদি সব কিছু পাবেন এই এক টুলে।
আমার প্রতিদিনের একটি অত্যাবশ্যকীয় টুল হচ্ছে সেশনস। নিশ্চিন্তে কিনে নিতে পারেন, যদি আপনি প্রতি মাসে জুম বা গুগল মিটের সাবস্ক্রিপশন খরচ বাঁচাতে চান কিন্তু আপনার একটা প্রিমিয়াম অনলাইন মিটিং টুল দরকার হয়।
৬০ দিনের রিফান্ড সুবিধা তো আছেই। ভাল না লাগলে যেকোন সময় কেনার পর ৬০ দিনের মধ্যে রিফান্ড নিয়ে নিতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলস
ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি টুল হচ্ছে সোশ্যাল লিসেনিং টুল। সোশ্যাল লিসেনিং টুলের কাজ হচ্ছে এক কথায় সোশ্যাল মিডিয়াকে অটোমেশনের মাধ্যমে ম্যানেজ করা। অনলাইনে আমাদের কোন বিসনেসের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা একটা সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল ম্যানেজ করতে গিয়েই হাফিয়ে উঠি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আপনি আপনার কাস্টমারের টপ অফ মাইন্ডে থাকতে হলে আপনাকে একসাথে সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকতে হবে। ধরে নিলাম আপনার বিসনেসের জন্য ১ টা ফেসবুক পেইজ, ১ টা ফেসবুক গ্রুপ, ১ টা ইন্সটাগ্রাম, ১ টা টিকটক, ১ টা লিঙ্কডিন পেইজ, ১ টা লিংকডিন প্রোফাইল, ১ টা ইউটিউব চ্যানেল, ১ টা পিন্টারেস্ট একাউন্ট আছে। তারমানে আপনার ১ টা বিসনেসের জন্য টোটাল সোশ্যাল মিডিয়া সংখ্যা ৮ টা। খুবই ভয়ানক ব্যাপার আমরা ১ টা সোশ্যাল মিডিয়াই ঠিকঠাক মতো মেইনটেইন করতে পারি না, আর ৮ টা? ১ টা কনটেন্টই যদি ৮ টা প্লাটফর্মে শেয়ার করি তাহলে ৫ মিনিট করে সময় লাগলেও অন্তত ৪০ মিনিট সময় লাগবে। খুবই বিরক্তিকর! তাই না?
আচ্ছা যদি ব্যাপারটা এরকম হয় যে, আপনি ১ টা প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে একটা ক্লিক করলেন সাথে সাথে ৮টা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হয়ে গেল! হ্যাঁ, এমনই দারুণ সমাধান দিচ্ছে সোশ্যাল লিসেনিং টুলগুলো। শুধু ১ ক্লিকে সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করাই না, আপনি ১ মাসের সব পোস্ট তৈরি করে ১ দিনে আপলোড করে শিডিউল করে রাখলেন, এর পর প্রতিদিন আপনার সেট করা নির্দিষ্ট সময়ে পাবলিশ হতে থাকলো। একই সাথে সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট এবং ইনবক্স ম্যাসেজ একটা প্লাটফর্ম থেকে ম্যানেজ করতে পারছেন এই টুলের মাধ্যমে। সবচেয়ে জনপ্রিত কিছু টুল হচ্ছে- Buffer, Hootsuite, Content Studio, Publer, Radaar ইত্যাদি।
নিচের দুইটা টুলের যেকোনটা বিবেচনা করতে পারেন।
১. Vista Social
কি করে: ১ টা প্লাটফর্ম থেকে যত খুশি ততগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, পেইজ, গ্রুপ, একাউন্ট একসাথে ম্যানেজ করতে পারবেন ভিস্তা সোশ্যালের মাধ্যমে। মনে করেন আপনি ১ টা পোস্ট ফেসবুকে দেওয়ার জন্য তৈরি করলেন, আপনি সেটা ফেসবুকে পোস্ট না করে এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে ১ বার পোস্ট করেই আপনার যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট আছে সবগুলোতে একসাথে ১ ক্লিকে পাবলিশ করতে পারবেন। তবে ফেসবুক প্রোফাইল এই সফটওয়্যার দিয়ে ম্যানেজ করা যায় না। আর সবকিছু ম্যানেজ করতে পারবেন। ১ মাসের পোস্ট ১ দিনে একসাথে শিডিউল করে দিলেন, তারপর আপনি কিছুই করছেন না কিন্তু প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে আপনার সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে শিডিউল অনুয়ায়ি পোস্ট হতে থাকবে। এছাড়া ১ জায়গা থেকে আপনার সব প্লাটফমের কমেন্ট ও ইনবক্সের ম্যাসেজ পড়তে পারবেন, রিপ্লাই দিতে পারবেন। আছে এনালিটিক্স, মানে দেখতে পারবেন কোন পোস্ট কেমন পারফর্ম করছে কোন কোন প্লাটফর্মে। আমাকে যে আপনারা আমার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো এতো পোস্ট করতে দেখেন, সবগুলোই এভাবে ম্যানেজ করা। এই পোস্টটাও আমি এভাবেই শিডিউল করে রেখেছি বিকাল ৪.৫৬ মিনিটে (২৮ নভেম্বর, ২৩)
কাদের জন্য: যারা অনলাইন বিসনেস করছেন। যারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ছাড়াই খুব কম পরিশ্রমে একসাথে সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার বিসনেসকে একটিভ রেখে অল্প সময়ের মধ্যে সবগুলো প্লাটফর্ম থেকে ব্যবসার সুবিধা পেতে চান। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি পরিচালনা করেন, যারা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানে বা ফ্রিল্যাসিং সার্ভিস দেন। যারা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর পাশাপাশি আপনার প্রতিষ্ঠানের গ্রোথ বাড়াতে ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করছেন।
কার বিকল্প: Buffet, Hootsuite, Publer, Radaar ইত্যাদি।
২. Nuelink
প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট + CRM টুল: Flowlu
প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুলের জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল হচ্ছে Asana, Trello ইত্যাদি। কিন্তু টুলগুলো প্রিমিয়াম। মানে আপনাকে মান্থলি সাবস্ক্রিপশন কিনে ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি এমন একটা প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল খোঁজেন, একবার টাকা পে করে সারাজীবন ব্যবহার করবেন তাহলে আপনার জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভাল অপশন হচ্ছে Flowlu.
একসাথে প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ফিচার এবং কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজম্যান্ট ফিচার দুইটাই পাবেন। টুল একটা কিন্তু কাজ হবে দুইটার। এটা ব্যবহার করলে আপনাকে আলাদাভাবে আর কোন সিআরএম টুলের সাবস্ক্রিপশন নিতে হবে না।
নো কোড অটোমেশন টুলস
এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো করতে গিয়ে মনে হয়, আমার যদি একজন পারসোনাল এসিস্ট্যান্ট থাকতো, এই কাজ করা মানে সময়ের অপচয় করা। বিশেষ করে ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজগুলো একজন প্রফেশনালের জন্য করাটা সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই না। কিন্তু একজন ডেটা এন্ট্রির লোক রেখে কাজগুলো করাটাও খরচসাপেক্ষ। সবচেয়ে ভাল হত, আপনার একটা পারসোনাল রোবট থাকলে, আপনি যা যা করতে চান, আপনার সেই কাজগুলো রোবট করে দিবে? হ্যাঁ এটা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে প্রোগ্রামিং কোড জানতে হবে না, আপনার দরকার একটা নো কোড অটোমেশন টুল। আপনি কি Zapier এর কথা কখনো শুনেছেন? Zapier হচ্ছে এই নো কোড অটোমেশন টুলের উদাহরণ। সমস্যা হচ্ছে Zapier ব্যবহার করতে হলে আপনাকে প্রতি মাসে একটা খুব ভাল এমাউন্ট খরচ করতে হবে। আপনি তো খরচ করতেও চান না। তাহলে উপায়?
আপনার জন্য এই মুহূর্তে দুইটা সমাধান।
দুর্দান্ত সব নো কোড অটোমেশন করতে পারবেন আপনার কাজের জন্য। আপনার রিপিটেটিভ টাস্কগুলোকে ছেড়ে দিন নো কোড অটোমেশন টুলে। আমাকে একটা থ্যাংকস না দিলে মাইন্ড করবো।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলখ্যে দুইটাতেই আছে লাইফটাইম অফার। সো আর দেরি কেন?
মাইন্ড ম্যাপিং টুল: Boardmix
আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি তাদের ক্লায়েন্ট মিটিং, টিম মিটিং, ট্রেনিং বা অনলাইন ক্লাসে বিভিন্ন বিষয় বোঝানোর জন্য প্রয়োজন হয় একটা মাইন্ডম্যাপিং এবং হোয়াইটবোর্ড টুলের। আর মাইন্ডম্যাপিং টুলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাইন্ডম্যাপিং টুল হচ্ছে Miro.
মিরো একটি প্রিমিয়াম টুল। আপনি যদি Miro এর খুব ভাল একটা অলটারনেটিভ সফটওয়্যারের লাইফটাইম ডিল খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল অপশন হচ্ছে Boardmix. লাইফটাইম ডিল এভেইলএবল আছে অ্যাপসুমোতে। এখনই কিনে ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারেন। যদি কেনার পর ৬০ দিনের মধ্যে আপনার যদি মনে হয় এই টুল আপনার প্রয়োজন মেটাতে পারছে না, তাহলে নো কোয়েশ্চেন রিফান্ড তো আছেই। জাস্ট রিফান্ড করে আপনার টাকা কার্ডে ব্যাক করে নিয়ে আসতে পারবেন।
ভিপিএন | FastestVPN
বিভিন্ন কাজে আমাদের প্রতিদিন ভিপিএন ব্যবহার করতে হয়। যদি আপনি ভিপিএন এর অল্প ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রিতেই এই ভিপিএনগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রির মধ্যে আমি টেস্ট করে দেখেছি এগুলো তুলনামুলকভাবে ভাল। কিন্তু ফ্রি ভিপিএনে আছে নানান ধরণের সমস্যা। প্রথমত লোকেশন ঠিকমতো কাজ করে না, দ্বিতীয়ত ব্যান্ডউইথ থাকে খুবই কম, মানে আপনার ব্রাউজিং খুবই স্লো হয়ে যাবে। আর নিরাপত্তার কথা তো আছেই।
এই সমস্যাগুলো যদি আপনার সাথে কানেক্ট করে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে প্রিমিয়াম ভিপিএন। প্রিমিয়াম ভিপিএনের মধ্যে ভাল কিছু ভিপিএন হচ্ছে- NordVPN, Surfshark, ExpressVPN ইত্যাদি।
আপনি যদি প্রিমিয়াম ভিপিএন মান্থলি সাবস্ক্রিপশন নিয়ে ব্যবহার না করে এমন একটা ভিপিএন চান যেটা কম কামে কিনে লাইফটাইম ব্যবহার করতে পারবেন তাহলে আপনার জন্য FastestVPN. এই ভিপিএনটা আমি গত দুই বছর ধরে ব্যবহার করছি। এটার লাইফটাইম ডিল চলছে, খুব অল্প দামে কিনে নিতে পারেন।
নিশ্চয়ই এতক্ষণে হাফিয়ে উঠেছেন ছারখার সব ব্ল্যাক ফ্রাইডে অফার দেখে। আপনি যদি উপরের সম্পূর্ণ লেখাটা পড়ে এই পর্যন্ত এসে থাকেন, তাহলে আপনাকে আমার স্যালুট! আপনি জীবনে অনেক উন্নতি করতে পারবেন। আপনার ধৈর্যর প্রশংসা না করে থাকতে পারছি না। আপনার মতো সিরিয়াস পাঠকের জন্যই কষ্ট করে এই লেখা। তাও যদি আপনার কোন উপকারে আসে তাহলেই আমার ভাল লাগবে। লেখাটা ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন।
Hi, I’m Saifullah Saif, a professional digital marketer in Bangladesh. With my unique strategies and years of experience, I’ve helped numerous famous brands succeed online. Besides working with brands, I have a passion for sharing knowledge and have trained over 3000 students in digital marketing, including SEO and content creation. I am also the founder of the e-learning platform Skilloar, the digital marketing agency CubixCrew, and the online motivational community Pi Fingers Motivation. Let’s connect and make your online presence shine!