ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান

বিসনেসের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান কীভাবে করবেন?

বর্তমান সময়ে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে খরচ কম, পারফর্মেন্স ফোকাস, সহজ অডিয়েন্স টার্গেটিং, কাস্টমার একুইজেশন এবং ট্রাকিং হওয়ার অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আপনি যদি বিসনেস করেন কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে এখনো চিন্তা ভাবনা না করে থাকেন তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে আপনি প্রযুক্তির আশীর্বাদ থেকে নিজেকে ভীষণভাবে বঞ্চিত করছেন। পিছিয়ে পড়ছেন আপনার প্রতিযোগীদের থেকে।

আর যারা ইতোমধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুধা পান করছেন, তাদেরকে অভিনন্দন! 

আমরা অনেকেই বুঝে বা না বুঝে ডিজিটাল মার্কেটিং করছি- ঠিক বেঠিক না বুঝে মার্কেটিং করা আর ভয়ংকর রাস্তার মাঝখানে চোখকান খোলা না রেখে হাঁটা একই জিনিস। ফলে আপনি হাজার হাজার ডলার নষ্ট করছেন, মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন এবং আপনার সম্ভাবনাগুলোকে নিশংসভাবে গলা টিপে হত্যা করছেন।

অপ্রিয় হলেও সত্যি আপনি একা না বরং যারা ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে তারাও ৮০ ভাগ মানুষ জানে না কীভাবে একটা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্টকে টার্গেট করে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন প্ল্যানিং করতে হয়। আমি আজকের এই লেখায় সেই বিষয়টাই একজন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনাল হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে সাধ্যমত সহজ করে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। সাথে এই লেখার মধ্যেই আমি একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যানের টেমপ্লেট দিয়ে রাখবো, আপনি চাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

কীভাবে একটা ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন প্ল্যান করবেন? 

ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান অনেকভাবে করা যায়, এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির উপর- মানে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কেটিং প্ল্যান এবং কে করছে এই মার্কেটিং প্ল্যান। আমি এখানে সবচেয়ে সহজে কীভাবে মার্কেটিং প্ল্যান করবেন তা নিয়েই কথা বলছি।

আপনি চাইলে আপনার মার্কেটিং প্ল্যানকে পাওয়ার পয়েন্ট আকারে তৈরি করে নিতে পারেন অথবা A4 সাইজে পিডিএফ ফাইল আকারেও উপস্থাপন করতে পারেন। তবে যেভাবেই উপস্থাপন করেন না কেন চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব লেখা কম, ভিজুয়ার এলিমেন্ট বেশি ব্যবহার করতে, যেমনটা আমরা ইনফোগ্রাফিক্স এ দেখি।

আমি এখানে খুব ডিটেইল না তবে কার্যকর উপায়ে, সহজে কীভাবে মাত্র ৬ টি ধাপে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান করবেন সেটা নিয়েই কথা বলবো। দেখা যাক সেই ছয়টি ধাপ কি কি?

১. বিসনেস সামারি

২. মার্কেটিং গোল

৩. প্রোডাক্ট

৪. কাস্টমার

৫. চ্যানেল

৬. কনটেন্ট

এবার বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক। 

বিসনেস সামারিঃ অল্প কথায় প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে লিখুন

এখানে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের একটা ছোট সামারি লিখবেন যেখানের প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিষয়গুলো এবং মার্কেটিং প্ল্যানের উদ্দেশ্য এক পলকে উঠে আসবে। 

যেমন আপনার প্রতিষ্ঠান কি কি সার্ভিস দেয়, কীভাবে কাজ করে, কত বছর ধরে সার্ভিস দেয়, কতগুলো কাস্টমার ম্যানেজ করেছে, অতীতের অর্জন এবং ভবিষ্যতের ডিরেকশন, প্রতিষ্ঠানের মিশন, ভিশন, এলিভেটর পিচ ইত্যাদি। 

বর্তমানে আপনার প্রতিষ্ঠান কি উদ্দেশ্যে মার্কেটিং করতে যাচ্ছে, মার্কেটিং করে কি কি পেতে চান তা এখানে উল্লেক করুন। এটা খুব বেশি বড় হবে না। যতটা সম্ভব খুব ছোট পরিসরে গুছিয়ে লিখুন।

নিচে একটা প্রতিষ্ঠানের বিসনেস সামারির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।

digital marketing business summary example

মার্কেটিং গোলঃ এই ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন থেকে কি রেজাল্ট পেতে চান তা ক্লিয়ার করে লিখুন

কোন একটা প্রতিষ্ঠান কখন মার্কেটিং করে? অনেক কারণ হতে পারে। যেমন-

১. কাস্টমার কমে গেলে

২. আরও বড় স্কেলে বিসনেসকে নিয়ে যেতে

৩. নতুন বিসনেস, তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে

৪. সব সময় কাস্টমারদের টপ অফ মাইন্ডে থাকতে

৩. কোন বিশেষ চ্যালেঞ্জ সামনে আসলে 

তার মানে এক কোথায় এগুলো প্রতিটা হচ্ছে সমস্যা, আপনার বিসনেস মার্কেটিং করে এই ধরণের সমস্যার সমাধান করার জন্য। 

এই ধাপটা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে এখানে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে যে, আপনি কেন মার্কেটিং করবেন? মার্কেটিং করে আপনি কি কি এচিভ করতে চান। গোল সেটাপ করাটা খুব সহজ মনে হলেও আসল সত্যি আমরা বেশিরভাগ মানুষ আসলে সঠিক উপায়ে গোল সেটা করতে পারি না। আর আপনার লক্ষ্য ঠিক না থাকলে আপনি কীভাবে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাবেন? 

গোল সেট করার জন্য সারা পৃথিবীতে একটা মেথড খুবই জনপ্রিয় যাকে বলে SMART Goal Setting. নিচের এই ভিডিওটা দেখুন, কীভাবে গোল সেট করবেন তা জানতে পারবেন। 

শুধু মার্কেটিং গোল সেট না, আপনার জীবনের যে কোন বিষয়ে আপনি গোল সেট করার জন্য এই মেথড ফলো করতে পারেন। 

মার্কেটিং এর গোল সেট করার জন্য এই টেমপ্লেটটা দেখতে পারেন।

Marketing Goal Setting Template

প্রোডাক্টঃ যে প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করবেন তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো লিখুন

যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য মার্কেটিং করবেন তার মূল বিষয়গুলো এখানে লিখুন। কয়েকটা বিষয় আপনাকে এখানে মাথায় রাখতে হবে- 

১. প্রোডাক্টের ফিচারঃ যে যে জিনিসগুলো এই প্রোডাক্টের ভেতর আছে।

২. প্রোডাক্টের বেনিফিটঃ প্রোডাক্টের ফিচারগুলো কাস্টমারদের কোন কোন সমস্যার সমাধান করছে।

৩. প্রোডাক্টের ইউনিক সেলিং প্রপোজিশন (USP): প্রোডাক্টে এমন কি আছে যা একই ক্যাটাগরির অন্য কারো বা অন্য কোন প্রোডাক্টে নেই। 

৪. প্রোডাক্টের প্রাইজঃ প্রোডাক্টের দাম কেমন। দামের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মার্কেটে অন্য প্রতিযোগীদের কথা চিন্তা করতে হবে এবং কাস্টমারদেরকে এই ফিল দিতে হবে যে আপনার প্রোডাক্ট অন্য সবার চেয়ে ভাল এবং ইউনিক কিন্তু দামেও কম। বিশেষ করে আপনার প্রতিষ্ঠান যদি নতুন হয় বা প্রোডাক্ট যদি নতুন হয়, তাহলে যত ভাল প্রোডাক্টই হোক না কেন, মার্কেটে আপনার নিজের একটা জায়গা তৈরি করতে হলে প্রতিযোগীদের চেয়ে অবশ্যই সবচেয়ে ভাল একটা প্রাইজ আপনাকে অফার করতে হবে।

উপরের বিষয়গুলো নিজের মতো করে লিখুন।    

কাস্টমারঃ প্রোডাক্ট অনুয়ায়ি আপনার টার্গেট কাস্টমার কারা তাদেরকে লিখুন

আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করার জন্য প্ল্যান করছেন, সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটা কাদের দরকার? বা কাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য এই প্রোডাক্ট তৈরি করা হয়েছে? এখানে আপনাকে আপনার সঠিক কাস্টমারদের খুঁজে বের করতে হবে। এই জায়গাটা মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কোন ভাবেই ভুল করা যাবে না। 

আপনি যদি আপনার প্রকৃত কাস্টকারদের সজ্ঞায়িত করতে না পারেন, তাহলে আপনি কোনভাবেই সফলতার প্রত্যাশা করতে পারবেন না।

পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ আছে। সবার আপনার কাস্টমার না। এই কোটি কোটি মানুষের মধ্যে থেকে শুধুমাত্র সেই মানুষগুলোকে আপনাকে চিহ্নিত করতে হবে যারা আপনার এই প্রোডাক্ট কেনার জন্য প্রস্তুত। আপনার কাস্টমার রেঞ্জ আপনি যত ছোট করতে পারবেন, যত ফোকাস করতে পারবেন ততই আপনার জন্য ভাল। কাদেরকে এই টার্গেট কাস্টমার রেঞ্জের মধ্যে রাখবেন তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিন কাদেরকে আপনি বাদ দিবেন।

মেজরিটিকে গুরুত্ব দিন। যেমন ধরুন- আপনার ৮০% কাস্টমার শহরে থাকে আর ২০% কাস্টমার গ্রামে থাকে। তাহলে আপনি ৮০% কে কাউন্ট করুন।  

কাস্টমারদের সজ্ঞায়িত করতে নিজের বিষয়গুলোর যতটা সম্ভব গভীরে প্রবেশ করুন- 

  • আপনার কাস্টমার কে? 
  • সে কোথায় থাকে?
  • সে কি করে? 
  • তার আগ্রহের বিষয়গুলো?
  • তার অভ্যাস?
  • তার স্বপ্ন কি? 
  • তার ভয় কোথায়? 
  • তার কষ্ট কিসে?
  • তার অর্জন কি?
  • কোন কোন বিষয়ে তার লোভ?
Digital Marketing Audience Segmentation

কীভাবে সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট করবেন তার জন্য এই আর্টিকেলটা পড়ে ফেলুন। 

চ্যানেলঃ টার্গেট কাস্টমারদের ডিজিটাল কোন চ্যানেলের মাধ্যমে রিচ করতে চান তা লিখুন

ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল কি? 

ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল হল- আপনি যে যে ডিজিটাল প্লাটফর্মে মার্কেটিং করছেন সেগুলোই প্রতিটাই একেকটা ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল। যেমন ধরুন- আপনি ফেসবুকে মার্কেটিং করছেন, তাহলে ফেসবুক হবে আপনার একটা ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল। আপনি যদি ইউটিউবে আপনার প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং করেন তাহলে ইউটিউবও আপনার আরেকটা ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল। 

টার্গেট কাস্টমারদের ডিফাইন করা হয়ে গেছে। এখন আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। কারণ আমরা জানি আমাদের টার্গেট অডিয়েন্স কারা, তারা কি করে, কোথায় থাকে ইত্যাদি। এখন এই ধাপে কাজ হচ্ছে আমাদের যে টার্গেট অডিয়েন্স আমরা খুঁজে বের করেছি- তারা ডিজিটালি কোন কোন প্ল্যাটফর্মে বেশি একটিভ থাকে সেগুলো এনালাইসিস করে বের করা।

Digital Marketing Channel Selection

যেমন ধরুন- আপনি বাংলাদেশে অনলাইনে এমন এক ধরণের বিশেষ মশলা বিক্রি করছেন, যা পাশের দোকানে গেলে পাওয়া যায় না। আপনার মশলার যারা ক্রেতা তারা সবচেয়ে বেশি কোন ডিজিটাল প্লাটফর্মে থাকে আপনাকে এটা খুঁজে বের করতে হবে। যারা বাংলাদেশের স্মার্ট গৃহিণী বা ঘরে রান্না করে এই ধরণের মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি একটিভ ফেসবুকে। তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল হল ফেসবুক। 

এভাবে বিভিন্ন ডাটা এবং লজিক দিয়ে এনালাইসিস করে এই ধাপে আপনি আপনার টার্গেট কাস্টমার অনুয়ায়ি মার্কেটিং চ্যানেল নির্বাচন করবেন এবং পাশে নোট হিসেবে লিখে রাখবেন, কেন এই চ্যানেল আপনি নির্বাচন করছেন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল হিসেবে। 

রেডিমেট মার্কেটিং প্ল্যান টেমপ্লেট ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন। 

কনটেন্টঃ টার্গেট কাস্টমার অনুয়ায়ি কি ধরণের কনটেন্ট ক্রিয়েট করবেন লিখুন

আমরা আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যানের সর্বশেষ ধাপে আছি এখন। এখন কাজ হচ্ছে আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলোতে কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেট করতে কি ধরণের কনটেন্ট পাবলিশ করবো তার প্ল্যান করা। কনটেন্ট এর ব্যাপারে দুইটা বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। 

১. কনটেন্ট মুড বা টোনালিটিঃ আপনার অডিয়েন্সের বয়স, রুচি, পছন্দ, অপছন্দ ইত্যাদি সাইকোজলি অনুয়ায়ি কনটেন্টের কমিউনিকেশনের মুড বা টোনালিটি কি হবে না নিয়ে ভাবতে হবে।

যেমন ধরুন- আপনার টার্গেট অডিয়েন্স হচ্ছে ৪০-৫০ বছর বয়সের মানুষ। তাদের জন্য আপনি যে কনটেন্ট তৈরি করছেন সেখানে যদি হই হুল্লোড়, নাচানাচি বা ক্রেজিনেসকে প্রকাশ করেন তাহলে এই কনটেন্ট দিয়ে আপনি তাদের সাথে কমিউনিকেট করতে পারবেন না। কিন্তু এই বয়সের মানুষের সাথে আপনি খুব সহজেই কমিউনিকেট করতে পারবেন যদি আপনার কনটেন্টটা বেশ তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি বা নিউজ টাইপের কনটেন্ট হয়।

আবার ধরণের আপনার অডিয়েন্স ১৯/২০ বছর বয়সী তরুণ তরুণী। ওদের সাথে কানেক্ট করতে হলে ওদের ড্রিম ও লাইফস্টাইল যে রকম, ওরা যে ভাষায় কথা বলে সেভাবে যদি আপনি কথা বলতে পারেন তাহলে খুব সহজেই তাদেরকে আকৃষ্ট করতে পারবেন। 

২. কন্টেন্টের আইডিয়াঃ সফল মার্কেটিং ক্য্যাম্পেইন সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে একটা ভাল মার্কেটিং আইডিয়ার উপর। মার্কেটিং কমিউনিকেশনের আইডিয়া এমনভাবে তৈরি করুন যা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সমস্যা, কষ্ট, খুশি, স্বপ্ন ও জীবনের বাস্তবতার সাথে কানেক্ট করে। একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি ট্রিগার হয় কোন কোন বিষয়গুলোতে তা বুঝতে এই কোটেশনটুকু মনে রাখুন- 

Pain and Gain
Fear and Greed

অর্থাৎ কষ্ট ও অর্জন, ভয় ও লোভ যে যে বিষয়গুলোতে জড়িত সেই বিষয়গুলোকে মূল টার্গেট করে আপনি যদি কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেই কনটেন্ট খুব ভালভাবে কাজ করবে। 

৩. কনটেন্ট ফরমেটঃ আপনার কমিউনিকেশনের টোনালিটি ঠিক হয়ে গেছে, আইডিয়া তৈরি করে ফেলেছেন, এখন কাজ হচ্ছে আপনি আপনার কনটেন্ট কোন ফরমেটে পাবলিশ করবেন বা আপনার মার্কেটিং কমিউনিকেশনের মাধ্যম কি হবে। কমিউনিকেশন মাধ্যম বা কনটেন্ট ফরমেট বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু ডিজিটাল কনটেন্ট ফরমেট হল-  

১. টেক্সট কনটেন্ট

২. ইমেজ

৩. ইনফোগ্রাফিক 

৪. ভিডিও 

৫. ব্লগ ইত্যাদি

Digital Marketing Content Types

ছবি সোর্সঃ semrush.com

অভিনন্দন! 

আপনি সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান কীভাবে করতে হয় তা শিখে গেছেন। 

এখন আপনার কাজ হচ্ছে প্রাক্টিস করা। মনে রাখবেন, আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাফল্য নির্ভর করে আপনি কত সুন্দর করে মার্কেটিং প্ল্যানিং করেছেন। মার্কেটিং প্ল্যানিংটা হচ্ছে আপনার জন্য একটা রোডম্যাপ। আপনি কি করছেন, কেন করছেন, কীভাবে করছেন সব কিছুর একটা গোছানো গাইডলাইন হচ্ছে মার্কেটিং প্ল্যান।

আর আপনি যদি আপনার বিসনেসের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যান করার জন্য আমার সার্ভিস নিতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন

 মার্কেটিং প্ল্যান টেমপ্লেট ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

আমি এখানে খুব সহজে এবং সংক্ষেপে মার্কেটিং প্ল্যান কীভাবে করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এখানে বেশ কিছু বিষয় আলোচনায় আনিনি যেমন- SWOT এনালাইসিস, বাজেটিং, পারফর্মেন্স ট্রাকিং ইত্যাদি। আপনি যদি আরও ডিটেইল করতে চাইলে আপনাকে এগুলো ইনক্লুড করতে হবে আপনার মার্কেটিং প্ল্যানে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চাইলে বিস্তারিত এই আর্টিকেলটি পড়ুন।      

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top