ডিজিটাল মার্কেটিং a to z

ডিজিটাল মার্কেটিং A To Z গাইডলাইন: ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন (কমপ্লিট)

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে একটা বাজওয়ার্ড। চারদিকে এই টার্মটি এতো বেশি শোনা যাচ্ছে, এতো বেশি মানুষ এ  নিয়ে কথা বলছে, এতো বেশি বিজ্ঞাপন দেখছি যে, ডিজিটাল মার্কেটিং কি- এই বিষয়টা আমার ধারণা এখন বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই এখন জানে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন নিয়েই আপনাদের জন্য এই লেখা।

বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বিশ্বায়ন ও নলেজ ইকোনমির এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি স্কিল যা শিখে একজন মানুষ একই সাথে অনেক কিছু করতে পারে। 

সাধারণত অন্য সব স্কিল অর্জন করে আপনি যা করতে পারবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়ার দরজা আরও অনেক বেশি খুলে দিবে।

এই লেখায় একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে আমি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আদ্যোপান্ত নিয়ে কথা বলবো- এক লেখায় আপনি জেনে যাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত (ডিজিটাল মার্কেটিং a to z) আপনার যত প্রশ্ন। শিখতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এই প্রশ্নে যাওয়ার আগে আমাদের জেনে নিতে হবে মার্কেটিং আসলে কি?

মার্কেটিং এর অনেক রকম সংজ্ঞা আছে। চলুন, আমরা কঠিন ও বইয়ের সংজ্ঞা বাদ দিয়ে একেবারে নিজেদের মতো করে বোঝার চেষ্টা করি।

মার্কেটিং কি? মার্কেটিং হচ্ছে কোন পণ্য বা সেবার প্রতি কাস্টমার বা কনজুমারদের আগ্রহ তৈরি করার প্রক্রিয়া। একটা পণ্য বা সেবার প্রতি যে যে উপায় বা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের ভেতর আগ্রহ তৈরি করা হয় সেই কাজগুলোকে মার্কেটিং বলে।   

তাহলে এখন লক্ষ্য করুন আমরা কথা বলছি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? “ডিজিটাল মার্কেটিং” এখানে মার্কেটিং শব্দটির আগের শব্দটি হচ্ছে ডিজিটাল। তারমানে ডিজিটাল মাধ্যম বা ডিভাইস ব্যবহার করে যখন কোন পণ্য বা সেবার প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি করা হয় তখন তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।  

ডিজিটাল মাধ্যম এবং ডিভাইস দুটি টার্ম বলেছি। ডিজিটাল মাধ্যম হতে পারে- সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ওয়েবসাইট, ইমেইল বা যেকোন যে কোন ধরণের কনটেন্ট যার মাধ্যমে একটা প্রতিষ্ঠান তার পন্যের ম্যাসেজ তার সম্ভাব্য কাস্টমার বা ক্রেতার কাছে পৌঁছায়। 

ডিজিটাল ডিভাইসের বিষয়ে বলতে গেলে- ডিজিটাল ডিভাইস টার্গেট করে মার্কেটিং করলেই তাকে আমরা সব সময় ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে পারি না। কারণ- কোন একটা মার্কেটিং প্রসেসকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে হলে তার ভেতর ৪টা R থাকতে হয়। 

১.  R= Right People

২. R= Right Time

৩. R= Right Place

৪. R= Right Content

Right People: ডিজিটাল মার্কেটিং সব সময় স্পেসিফিক বা টার্গেট মানুষের মাঝেই করতে হবে। কোন ভুল মানুষ যে আমার পণ্য বা সেবার ভোক্তা বা ক্রেতা না, তার কাছে আমি কখনো মার্কেটিং করবো না। 

Right Time: মার্কেটিং এমন সময়ে করতে হবে যে সময়টাতে আমার বেশিরভাগ টার্গেট কাস্টমার এভেইলেবল আছে। 

Right Place: মার্কেটিং এমন স্থানে করতে হবে যেখানে আমার টার্গেট কাস্টমারদের সবচেয়ে বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে।

Right Content: আমি সেই ধরণের কনটেন্ট দিয়ে আমার পণ্য বা সেবার ম্যাসেজ কাস্টমারের কাছে ডেলিভার করবো, যে ধরণের কনটেন্ট তারা পছন্দ করে, যে ধরণের কনটেন্ট দেখতে তারা অভ্যস্ত। 

তার মানে এক কথায় যদি বলি, ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে? 

কোন পণ্য বা সেবার প্রতি ডিজিটাল মাধ্যমে সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে, সঠিক কনটেন্ট দিয়ে স্পেসিফিক কাস্টমারদের আগ্রহ তৈরি করার প্রসেসকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z গাইডলাইন

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা হয়েছে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং a to z বিষয়গুলোকে নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক যাতে আমরা digital marketing a to z Bangla একটা সম্পূর্ণ গাইডলাইন পেতে পারি।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি?

ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর এপ্রোচ ভিন্ন হলেও কাজ কিন্তু একই। মানে কাস্টমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কাস্টমারকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে কানেক্ট করা। 

একজন সাধারণ মানুষ এক দিনে বা একটা বিজ্ঞপন দেখে কাস্টমারে পরিণত হয় না। তাকে ধাপে ধাপে সাইকোলজিক্যালি বিভিন্ন স্টেইজে এই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে তার মনের মধ্যে একটা অবস্থান তৈরি করতে হয়। 

এই কাজটা আগে সম্পূর্ণই করা হত ট্রেডিশিনাল মার্কেটিং- যেমন- টিভি, রেডিও, নিউজপেপার, লিফলেট ইত্যাদি মাধ্যমে। কিন্তু এখন এই মাধ্যম আরও বিশাল ও ব্যাপক হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং আসার কারণে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি কাজ করে বিস্তারিত জানুন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি? 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা যেমন আছে তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধাও আছে। তবে অসুবিধার তুলনায় সুবিধা এতো বেশি যে আসুবিধা বা সীমাবদ্ধটা নিয়ে না ভেবে আমাদের উচিত প্রযুক্তির এই আশীর্বাদকে গ্রহণ করে এখান থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা নেওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।

০১. খরচ কম

০২. রিয়েল টাইম ডাটা

০৩. সুপার টার্গেট অডিয়েন্স

০৪. গ্লোবাল অডিয়েন্স

০৫. ইনস্ট্যান্ট ফিডব্যাক

০৬. অনলাইনে ব্যবসা

নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলা হয়েছে।

১. ডিজিটাল মার্কেটিং এর খরচ ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে অনেক কম

ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর ক্যাম্পেইন করতে হলে বেশ বড়সড় একটা আয়োজন নিয়ে নামতে হয়। অনেকগুলো মানুষ, অনেক বড় বাজেট। যা একটি খুবই ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একবারেই সম্ভব নয়। 

একারণে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ শুধু বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কেটিং করার সুযোগ পেত কিন্তু ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো মার্কেটিং করতে পারত না। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এখানে ছোট বা মাঝারি সাইজের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি মাত্র ১০০০ টাকা বাজেট নিয়েও মার্কেটিং শুরু করতে পারেন আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে- ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ একজন মানুষকে কাস্টমারে পরিণত করতে আপনার যে খরচ হত, ডিজিটাল মার্কেটিং এ অন্তত তার চেয়ে দশভাগের একভাগ খরচ করেও ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়। 

২. রিয়েল টাইম ডাটা

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন শুরু করার পর প্রতি মুহূর্তে আপনি ক্যাম্পেইনের ফলাফল দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। যা আপনাকে ক্যাম্পেইন অপটিমাইজ করে আরও ভাল রেজাল্ট কীভাবে আনা যেতে পারে সেই পথ দেখাবে। 

এখানে ক্যাম্পেইনে রিয়েল টাইম ডাটা পাওয়া যায় বলে ইন্সট্যান্ড সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ভাল রেজাল্ট না পেলে এমনকি আপনি ক্যাম্পেইন বন্ধ করে দিয়ে টাকা সেইভ করতে পারছেন। নতুন করে আবার শুরু করার সুযোগ পাচ্ছেন। যেটা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ সম্ভব নয়।

৩. সুপার টার্গেট অডিয়েন্স  

আপনার মার্কেটিং তখনই ফল্প্রসু হবে যখন আপনি জানবেন আপনার কাস্টমাররা কোথায় সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুব ভাল একটা সুবিধা হল, এখানে আপনি ফোকাস টার্গেটিং করার সুযোগ পাচ্ছেন। মানে কোন ভুল মানুষের কাছে আপনার বিজ্ঞাপন যাচ্ছে না। একেবারে শুধু যারা আপনার কাস্টমার হতে পারে তাদের কাছেই আপনার বিজ্ঞপন যাবে। 

৪. গ্লোবাল অডিয়েন্স

আপনি কোথায় থাকেন কোথায় আপনার ব্যবসা ম্যাটার করে না, আপনি ঢাকায় না থেকেও ঢাকার মানুষের কাছে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করতে পারছেন। 

এমন কি বাংলাদেশের অনেকেই দেশের আনাচে কানাচে থেকে আমেরিকার মানুষের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করছে। একবার ভাবুন এটা কি ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ কখনো সম্ভব ছিল? 

৫. ইনস্ট্যান্ট ফিডব্যাক 

আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাস্টমারদের ফিডব্যাক ইনস্ট্যান্ট জানার সুযোগ পাচ্ছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এ। ফলে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারছেন। 

কারণ এখন আপনার প্রতিষ্ঠানের সাথে ওয়ান টু ওয়ান কমিউনিকেশন আপনার কনজুমারদের। যা আপনার ব্যবসাকে আরও গতিশীল করতে হেল্প করছে।

৬. অনলাইনে ব্যবসা

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি খুব অল্প পুজি নিয়েও আপনার ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন অনলাইনে। আপনার অফিসের প্রয়োজন নেই, টিমের প্রয়োজন নেই। 

এমন অনেক ক্ষুদ্র অনলাইন ব্যবসা আছে যা প্রতি মাসে বেশ ভাল ইনকাম জেনারেট করছে কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করছে শুধুমাত্র একজন মানুষ। 

আপনিও আপনার যাত্রাটা এভাবেই শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে যখন ব্যবসার আয় বাড়বে তখন আপনি চাইলেই অফিস বা টিম রেডি করে ফেলতে পারছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল কি?

অনলাইনে যে যে প্লাটফর্মে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করছেন, সেই একেকটা প্লাটফর্মকে বলে ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল। 

আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার জন্য প্লাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককে বেছে নেন, তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল হচ্ছে ফেসবুক। 

আপনি যদি ইমেইলে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার মার্কেটিং চ্যানেল হচ্ছে ইমেইল। 

আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করেন তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন।

কোন চ্যানেলে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন বা কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে আপনার মার্কেটিং প্ল্যানের উপর।     

ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিশাল বড় ইন্ডাস্ট্রি। আপনি যদি একজন বিগিনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত সর্বপ্রথম বেসিক একটা ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করা। 

এই বেসিক কোর্সের মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একটা ওভারঅল ধরনা পাবেন। এর শাখা প্রকাশা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

যখন আপনি সবগুলো বিষয় জেনে যাবেন তারপর আপনাকে এর ভেতর থেকে যেকোন একটি নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পরবর্তী বছরগুলোতে যা শিখবেন বা যা নিয়ে কাজ করবেন সবই হবে এই নির্দিষ্ট টপিকের উপর। এই টপিকের উপরে নিজেকে একপার্ট হিসেবে তৈরি করতে হবে। 

তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং কত ধরণের ও কি কি? 

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?

ডিজিটাল মার্কেটিংকে আমরা প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। 

১. অর্গানিক মার্কেটিং

২. পেইড মার্কেটিং

অর্গানিক ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 

অর্গানিক মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এমন এক প্রসেস যেখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলকে কোন টাকা পে না করেই সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে মার্কেটিং করছেন। 

এখানে আপনি অনেক বেশি ফোকাস নিজের কনটেন্ট ক্রিয়েট করা নিয়ে। এমন কনটেন্ট বেশি বেশি ক্রিয়েট করছেন যা আপনার টার্গেট গ্রুপের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করছে। 

কনটেন্ট ক্রিয়েট করে আপনার কাজ হচ্ছে এই কনটেন্টগুলোকে বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলোতে অপটিমাইজেশনসহ ডিস্ট্রিবিউট করা।

এই পদ্ধতিতে আমরা মার্কেটিং চ্যানেলকে কোন ধরণের টাকা পে করি না। 

উদাহরণ- আপনার একটা ফেসবুক পেইজ আছে যেখানে খুব হাই কোয়ালিটির একটা কনটেন্ট পাবলিশ করার পর অটোমেটিভাবে সেটা অসংখ্য মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে। আপনি ইউটিউবে একটা ভিডিও পাবলিশ করার পর সেটা ভাইরাল হয়ে গেল। ফলে লাখ লাখ মানুষ আপনার ভিডিও দেখছে আর ফ্রিতে আপনার মার্কেটিং হয়ে যাচ্ছে।  

পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং কি? 

পেইড মার্কেটিং হচ্ছে অর্গানিক মার্কেটিং এর বিপরীত। মানে এখানে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তা বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়াতে পাবলিশ করার পর, সেই কনটেন্টকে লাখ লাখ আমার টার্গেট মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমি যদি ডিজিটাল মিডিয়াকে টাকা পে করি, তখন তাকে পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

যেমন- আমি একটা ভিডিও ফেসবুক পেইজে পাবলিশ করে দেখলাম, সেটা খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় নাই। এরপর আমি ফেসবুককে টাকা দিয়ে আমার টার্গেট অডিয়েন্স দিয়ে বলে দিলাম আমাকে ১ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। ফেসবুক আমার সেই অডিয়েন্সের কাছে আমাকে পৌঁছে দিল। 

এটাকে বলে পেইড ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল চ্যানেল অনুয়ায়ি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ

ডিজিটাল মার্কেটিংকে আমরা মার্কেটিং চ্যানেল অনুয়ায়ি আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করতে পারি।       

১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)

২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

৩. ইমেইল মার্কেটিং (EM)

৪. কনটেন্ট মার্কেটিং (CM)

৫. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (IM)

এবার ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও তার প্রতিটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক- 

১. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন- যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম বা লিঙ্কডিন যদি আপনার মার্কেটিং এর চ্যানেল হয়ে থাকে তাহলে এটাকে আমরা বলতে পারি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। 

২. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

আপনি যদি আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার প্রচারনার জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে বেঁছে নেন এবং সার্চ ইঞ্জিন নির্ভর মার্কেটিং করেন তাহলে তাকে আমরা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলতে পারি। 

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং আবার দুই ধরণের। সার্চ ইঞ্জিনে আপনি দুইভাবে মার্কেটিং করতে পারেন। 

১. সার্চ ইঞ্জিন এডভারটাইজিং

২. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

সার্চ ইঞ্জিন এডভারটাইজিং 

সার্চ ইঞ্জিনে আপনি যদি পেইড অ্যাড ক্যাম্পেইন করেন, তাহলে তাকে বলে সার্চ ইঞ্জিন এডভার্টাইজিং। যেমন- গুগল সার্চ অ্যাড। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

আপনার ওয়েবসাইটের কোন নির্দিষ্ট পেইজে সার্চ ইঞ্জিনের টপে সম্পূর্ণ অর্গানিকভাবে নিয়ে আসার জন্য আপনি যে যে কাজগুলো করছেন তাকে বলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গ্রইং ইন্ডাস্ট্রি। সারা পৃথিবীতে ভাল মানের ডিজিটাল মার্কেটারের খুব অভাব। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তো অবস্থাটা আরও ভয়াবহ! আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় who is the  Best Digital Marketer in Bangladesh. হাতে গোনা চারপাঁচটা নাম বারবার ঘুরে ফিরে আসবে। ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচুর সম্ভাবনাময়।

ডিজিটাল মার্কেটার অনেক আছে কিন্তু বেশিরভাগই বিগিনার লেভেলের। আমাদের দেশে অ্যাডভান্স লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটারের খুব অভাব। 

যেখানে সমস্যা সেখানেই সম্ভাবনা। এই সমস্যাকেই আপনি সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। খুব ভাল করে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি অনেকদুর চলে যেতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কি কি করা যায়?

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ৩ ধরণের হয়- 

১. কর্পোরেট জবঃ 

২. ফ্রিল্যান্সিং

৩. ব্লগিং 

৪. উদ্যোক্তা

১. ডিজিটাল মার্কেটিং এ কর্পোরেট ক্যারিয়ার

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে চাকরি করতে চাইলে আপনাকে মোটামুটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন একটা পার্টকুলার বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আপনার ভাল ধরনা থাকতে হবে। 

একজন ডিজইটাল মার্কেটিং ক্রিল্যান্সার চাইলে শুধু একটি বিষয় শিখে অনলাইন মার্কেটপ্লসে টপ রেটেট ফ্রিল্যান্সার হতে পারে। তারমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একজন টপ রেটেট ফ্রিল্যান্সার যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মোটামুটি সবগুলো বিষয় জানেন- এমনটা নাও হতে পারে। 

একটা ছোট টপিক নিয়ে কাজ করে সে তার ফ্রিল্যাসিং পোর্টফলিও তৈরি করে ফেলতে পারে। কিন্তু কর্পোরেট জবের ক্ষেত্রে আপনাকে মোটামুটি বলা চলে অলরাউন্ডার হতে হবে। 

সবগুলো বিষয়ে আপনার ভাল ধরনা থাকতে হবে বিশেষ করে- ডেটা ড্রিভেন ডিজিটাল মার্কেটিং, কনভার্সন ট্রাকিং, কনভার্সন রেট অপ্টিমাজেশন, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি প্ল্যানিং, কনটেন্ট ক্রিয়েশন ইত্যাদি। 

২. ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যাসিং

যে কয়টা স্কিল বর্তমানে সারা বিশ্বে অনেক বেশি চাহিদাসম্পন্ন তার মধ্যে অন্যতম একটি স্কিল হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন- আপওয়ার্ক ও ফাইবারেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর রয়েছে আকাশ্চুম্বি চাহিদা। 

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং। তবে বেসিক স্কিল শিখে ফ্রিল্যাইসিং মার্কেটপ্লেসে গিয়ে আপনাকে তুলনামুলকভাবে বেশি প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হবে। 

সেক্ষেত্রে আপনার উচিত একটু ইন্তারমেডিয়েট অথবা অ্যাডভান্সড ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শুরুটা করা। কারণ মার্কেটপ্লেসগুলতে এ্যাডভান্স কাজ জানা ফ্রিল্যাস্নারের অনেক বেশি অভাব।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যাসিং আপনি দুইভাবে করতে পারেন-

১. অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করা

২. মার্কেটপ্লেসের বাইরে ডিজিটাল মার্কেটং সার্ভস দেওয়া

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং ব্লগিং ক্যারিয়ার

আপনি হতে পারেন একজন প্রফেসশানল মানের ব্লগার। ব্লগিং সারা বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় একটি পেশা। ব্লগিং করে প্রতি মাসে আপনি অন্তত ৫০০ ডলার করে ইনকাম করা সম্ভব। ব্লগিং করার জন্য আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটমাজেশন স্কিল ভাল থাকা জরুরী।

ব্লগিং এ কি কি কাজ করতে হয়? 

প্রথমে যে কোন একটা টপিক রিসার্চ করে বের করতে হবে কাজ করার জন্য। তারপর সেই টপিকের উপরে একটা ওয়েবসাইট করবেন। এই ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর নিয়ে আসবেন। ভিজিটরকে মনিটাইজ করে ইনকাম করবেন। একটা ওয়েবসাইটের ইনকাম নির্ভর করে ওয়েবসাইটের ভিজিট্রের উপর। যত বেশি ভিজিটর থাকবে তত বেশি ইনকাম হবে ওয়েবসাইট থেকে। 

কীভাবে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম জেনারেট হয় জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। 

ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে প্রতি মাসে মাসে ইনকাম করাকে বলে প্যাসিভ ইনকাম। 

একটা ওয়েবসাইটকে আনুমানিক ৬ মাসে আপনি ৫০০ ডলার প্রতি মাসে ইনকামে নিয়ে যেতে পারেন। একটা ওয়েবসাইট প্রতি মাসে ১০০০ ডলার করে ইনকাম করে এমন একটি ওয়েবসাইট চাইলে আপনি বিক্রিও করে দিতে পারেন বভিন্ন মার্কেটপ্লেসে। 

এক্ষেত্রে মাসে এভারেজ ইনকামের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ গুন দামে ওয়েবসাইট বিক্রি করা যায়। 

তারমানে একটা ওয়েবসাইট যদি প্রতি মাসে ১০০০ ডলার ইনকাম করে, আমি চাইলে সেই ওয়েবসাইটকে ৩০০০০ ডলার থেকে শুরু করে ৪০০০০ ডলার দামে বিক্রি করতে পারি। 

এই ধরণের সাইটগুলোকে বলে নিস সাইট। নিস সাইট নিয়ে কাজ করাকে বলে নিস সাইট প্রোজেক্ট। 

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং উদ্যোক্তা 

ডিজিটাল মার্কেটিং এ অভিজ্ঞ মানুষজন একটা সময় নিজেই হয়ে উঠে একজন উদ্যোক্তা। দীর্ঘ দিনের মার্কেটিং অভিজ্ঞতা এবং অনেক প্রতিষ্ঠানকে গ্রো করার অভিজ্ঞতা একজন প্রকেশনাল ডিজিটাল মার্কেটারকে ডিজিটাল উদকগাতাতে রূপান্তর করে। 

আপনি চাইলে একটা অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি দিয়ে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে পারেন, অথবা যেকোন অনলাইনে নির্ভর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং জানাতা খুব প্রয়োজন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

বর্তমান যুগে যেকোন কিছু শেখার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হচ্ছে- গুগল ও ইউটিউব। আপনি যে কোন স্কিল নিজে নিজে শিখে ফেলতে পারবেন যদি আপনি খুব ভাল করে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে জানেন। 

সবার আগে জরুরী হচ্ছে আপনার ইচ্ছাশক্তি। আপনি যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কোন কিছু শিখতে শুরু করেন আমার বিশ্বাস আপনি নিজে নিজেই ইন্টারনেট ঘেটে শিখে ফেলতে পারবেন। তবে তার জন্য থাকা চাই অনেক বেশি ধৈর্য। আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে। 

ধরলাম আপনি একটু অলস প্রকৃতির। আপনার ধৈর্য কম, সময় কম। সেক্ষেত্রে আপনাকে একজন খুব ভাল মানের মেন্টরের অধিনে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে। ট্রেইনার না বলে মেন্টর কেন বললাম জানেন? 

একজন ট্রেইনারের কাজ হচ্ছে কোন কিছু শিখিয়ে দেওয়া। তারপর সেই শিক্ষা কতটা কাজে লাগলো সেটা তার দেখার বিষয় না। কিন্তু একজন মেন্টর মানে সে আপনার অলটাইম গাইড। আপনাকে শুধু শেখাবেই না, সে হাত ধরে ধরে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

আপনি ভুল পথে গেলে সে ধরিয়ে দিবে, আপনি সঠিক পথে এগুলো সে এপ্রিশিয়েট করবে। আপনার সাথে তার সম্পর্ক একদিনের না, যতদিন এই সেক্টরে আপনি আছেন ততদিন তাকে ফলো করবেন। এমন একজন মেন্টর পেলে আপনার জীবনে সফল না হয়ে ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগই নেই। 

অনলাইনে নিজে নিজে না শিখে একজন মেন্টরের কাছে শিখলে সবচেয়ে বেশি আপনি যে সুবিধা পাবেন তা হচ্ছে- আপনি একা একা শিখতে গেলে অনেক সময় ভুল পথে হাটবেন, প্রচুর সময় নষ্ট করবেন। ঠেকে ঠেকে হিখবেন। 

কিন্তু একজন প্রফেশনাল মেন্ট্রের অধিনে থাকলে সেলফ লার্নিং করে আপনি যা ২ বছরে শিখতে পারবেন না তা হয়ত ২/৩ মাসেই শিখে যেতে পারবেন। কারণ সে জানে আপনার পথ কি, কোনদিকে আপনার যাওয়া উচিত। আপনি ভুল পথে না গিয়ে শুরু থেকেই সঠিক পথে এগতে পারবেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কোন কোন দক্ষতা লাগে?

একজন ভাল মানের ডিজিটাল মার্কেটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো থাকতে হয় সেগুলো হচ্ছে। এগুলো না থাকলে যে আপনি ডিজিটাল মার্কেতার হতে পারবেন না, আমি তা বলছি না। কিন্তু এই স্কিল্গুল থাকলে আপনি খুব অল্প সময়ে ক্যারিয়ারে অনেক বেশি উন্নতি করতে পারবেন। আপনার পক্ষে সম্ভব লিডিং কোন পজেশনে যাওয়া। 

তাহলে দেখা যাক, সেই স্কিলগুলো কি কি? 

১. এনালাইটিক্যাল এবিলিটিঃ যে কোন কিছুকে সুন্দর করে ব্যখ্যা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা।

২. ক্রিয়েটিভিটিঃ মানে শুধু টুলের ব্যবহার না। এর চেয়ে আরও ব্যাপক। টুল নির্ভর মার্কেটাররা সারাজীবন একটা নির্দিষ্ট গণ্ডীর মধ্যে হাবুডুবু ক্ষেতে হয়। কিন্তু একজন ক্রিয়েটিভ মার্কেটার সবসময় স্ট্রাটেজি নির্ভর হয়। চমৎকার সব আইডিয়া দিয়ে একেকটা ক্যাম্পেইন করে প্রোডাক্টকে খুব সহজেই স্টান্ড আউট করতে পারে।

৩. কমিউনিকেশনঃ যেকোন মানুষের সাথে সহজে কমিউনিকেশন মেইনটেইন করতে পারার দক্ষতা।

৪. টেকসেভিঃ টেকনলজির ব্যবহারে পারদস্নিতা থাকতে হবে। 

৫. ইংলিশঃ ইংলিশ বেসিক লেখা, বোঝা ও পড়ার স্কিল থাকতে হবে। 

৬. কোলাবোরেশনঃ একসাথে টিমে যে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।  

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে কি কি লাগে?

১. কম্পিউটার

২. হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে যেকোন ভাল ইন্সটিটিউট থেকে শিখে নিতে পারেন। অফলাইন এবং অনলাইনে দেশ বিদেশে এমন অসংখ্য কোর্স আছে যা দিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং হাতেখড়ি করতে পারেন। কিছু কোর্স ফ্রি আবার কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্স আছে। এর মধ্যে কিছু ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করলে আপনি সার্টিফিকেট পাবেন। যে সার্টিফিকেটগুল আপনাকে আপনার দক্ষতার একটা স্বীকৃতি দিবে। 

আমি এখানে সব ধরণের কিছু কিছু কোর্সে লিংক সহ উল্লেখ করলাম। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ফ্রি কোর্স

কোর্সের নাম- Fundamentals of digital marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক বিষয়গুলি নিয়ে এটা একটা ফ্রি কোর্স যা Interactive Advertising Bureau Europe এবং The Open University স্বীকৃত। কোর্সে ২৬টি মডিউল আছে, যা গুগলের ট্রাইনারদের দিয়ে তৈরি এবং প্রচুর প্রাক্টিকাল উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে প্রতিটি টপিক যাতে আপনার এই শিক্ষাকে কাজে পরিণত করতে পারেন। কোর্স শেষে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে, পরীক্ষায় ভাল করলে সার্টিফিকেট পাবেন। 

কোর্সের নাম – Digital Marketing Course: Get Certified in Digital Marketing

এই কোর্সটি মার্কেটিং ম্যানেজার, কন্টেন্ট মার্কেটার এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ছাত্রদের জন্য তৈরি- যারা তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা বাড়াতে চায়। এই কোর্সে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অর্গানিক মার্কেটিং, পেইড মার্কেটিং, পারফর্মেন্স ট্রাকিং, কনভার্শন রেট অপটিমাইজেশন, ব্লগ কনটেন্ট, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি, ভিডিও মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়গুলো শিখতে পারবেন। 

এটি একটি ফ্রি কোর্স, কোর্স শেষে আছে সার্টিফিকেটের সুবিধা। 

কোর্সের নাম- Digital Marketing Courses

ডিজিটাল মার্কেটিং এর খুবই জনপ্রিয় একটি টুল হচ্ছে SEMRush. ওদের একটা ফ্রি লার্নিং হাব আছে। এখান থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং রিলেটেড যে কোন কোর্স ফ্রিতে করতে পারেন। 

কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পাবেন। 

কোর্সের নাম- Free Digital Marketing Basics Course

এটা জনপ্রিয় লার্নিং প্লাটফর্ম ইউডেমির একটি ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স। এখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক বিষয়গুলো জানতে পারবেন। 

কোর্স শেষে পাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং সার্টিফিকেট। 

কোর্সের নাম- Introduction to Digital Marketing Fundamentals Course

এটা জনপ্রিয় আরেকটা লার্নিং প্লাটফর্ম সিমপ্লিলার্ন এর একটি ২ ঘন্টার বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স। ৯০ দিনের জন্য ফ্রিতে এক্সেস পাবেন আপনি। কোর্স শেষে আছে সার্টিফিকেট। 

অনলাইনে ইংরেজি ভাষার ভাল কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

এখানে জনপ্রিয় কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং পেইড কোর্সের লিংক দেওয়া আছে। এখান থেকে যেকোন কোর্স করতে পারেন। 

১. উডাসিটি নেনো ডিগ্রি কোর্স

২. কোর্সেরা

৩. সিমপ্লিলার্ন

৪. ডিজিটাল মার্কেটার

বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রতিষ্ঠান থেকে না, কোর্স করবেন মেন্টর দেখে। কারণ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোর্স কোন ইন্ডাস্ট্রি একপার্ট নেয় না, এখানে বিগিনার লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটিং জানা মানুষগুলো দিয়ে কোর্স করানো হয়। তাই আপনার উচিত কোন প্রতিষ্ঠান না, বরং কার কাছে শিখছেন সেটা কনফার্ম হওয়া। আপনার মেন্টররের ইন্ডাস্ট্রি এক্সপেরিয়েন্স, রিয়েল কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি দেখেই কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। 

চাইলে আমার বেসিক থেকে অ্যাডভান্সড ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সও জয়েন করতে পারেন। 

শেষ কথা

ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z নিয়ে লিখতে গিয়ে লেখাটি বেশ বড় হয়ে গেছে। এই লেখায় আমি চেষ্টা করেছি পরিপূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন নিয়ে আপনাদের শুরু থেকে শেষ পর্জন্ত প্রতিটা বিষয়ে ধারণা দেওয়ার অর্থাৎ digital marketing a to z Bangla গাইডলাইন। আশা করি আপনারা মনোযোগ দিয়ে লেখাটা পড়েছেন। আমি এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটা বিষয় নিয়ে অল্প অল্প করে বলে সবগুলো টপিক কভার করেছি। প্রতিটি বিষয় নিয়ে আবার আলাদা আলাদাভাবে লেখা আছে। আপনারা সবগুলো একসাথে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। 

লেখাটা পড়ে উপকৃত হলে আমার কষ্ট সার্থিক হবে। শেয়ার করুন আপনার পরিচিত মানুষজনকে। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top